ঢাকাঃ করোনা টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সক্রিয় রয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের নামে নেয়া দুই এনআইডিতে সাবরিনার স্বামীর নাম দু'রকম। একটি এনআইডির চেয়ে অন্যটিতে বয়স কম দেখানো হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আগে বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য দিয়েছে। ইসি এখন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।
ইসির একজন কর্মকর্তা বুধবার (২৬ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার মণি এ বিষয়ে জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দেন। অনুসন্ধানে সাবরিনার দুটি এনআইডি পেয়েছে দুদক, দুটি আইডি কীভাবে পেলো ইসির কাছে জানতে চেয়েছে দুদক।
আইন অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য বা ঘোষণা দিয়ে ভোটার হলে ৬ মাস কারাদণ্ড, অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।
জানা গেছে, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। একটিতে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে। জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দুটি আইডিতে বয়সের ফারাক পাঁচ বছর।
একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন অপরটিতে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ মুশাররফ হসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন। দুই এনআইডিতে দুই ঠিকানাও ব্যবহার করেছেন তিনি। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গেল ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্তে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার নাম এলে গত ১২ জুলাই তাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে এ মামলার সব আসামি কারাগারে রয়েছেন।
আগামীনিউজ/এএইচ