পেনশনের জন্য সরকারি চাকুরের প্রতিবন্ধী সন্তানের দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীনতা ও উপার্জনে অক্ষমতা নির্ণয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে স্থায়ী মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
‘সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০’ অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তান যদি দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন হয়ে উপার্জনে সক্ষম হন, তবে তিনি কিছু শর্তে আজীবন পারিবারিক পেনশন পাবেন। এজন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে স্থায়ী মেডিকেল বোর্ড গঠনের কথাও বলা হয়েছে আদেশে।
কেন্দ্রীয় মেডিকেল বোর্ডের সভাপতি রাজধানীর ফুলবাড়ীয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের পরিচালক। সদস্য হিসেবে থাকবেন দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের বিষয়ে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (পরিচালক মনোনীত)। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদফতর/পরিদফতর/দফতর/সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কল্যাণ কর্মকর্তা বোর্ডে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
মেডিকেল বোর্ড মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর অধীন অধিদফতর, পরিদফতর ও সংস্থা/সংশ্লিষ্ট বিভাগ/দফতর প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানের স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন ও উপার্জন অক্ষমতার বিষয়টি পরীক্ষা করে প্রত্যয়ন প্রদান করবে।
আবেদনপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সদস্যসচিব মেডিকেল বোর্ডে উপস্থাপন করবেন এবং এ কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট সদস্যসচিবের দফতর সংরক্ষণ করবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, সদস্যসচিব মেডিকেল বোর্ডের সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করে মেডিকেল পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানকে বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার জন্য অবহিত করবেন।
আগামীনিউজ/এএইচ