২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটা বাংলাদেশের ৪৯ তম বাজেট। তবে অন্য সব বাজেটের থেকে এবারের বাজেট নানা কারণেই কিছুটা ভিন্ন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। ভেঙ্গে পড়েছে বিশ্বের উন্নত সব দেশের স্বাস্থ্যখাতও। তাই সঙ্গত কারণেই এবার স্বাস্থ্যখাতে দেশের বাজেট বাড়বে। তবে বেশকিছু পণ্যের ওপর সরকার কর আরোপ করছে আগের চেয়েও বেশি। এবারের বাজেটেও মোবাইল সেবার ওপর কর আরেক দফা বাড়িয়েছে সরকার। শুল্ক আগের বারের চেয়ে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা গত বছরও একই হারে বাড়ানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ( ১১ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২০–২১ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেন, এতে নতুন করে এই কর বাড়ানো হয়। বাজেটের কর প্রস্তাব ঘোষণার পরপরই কার্যকর হয়। ফলে বাড়তি কর টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নিজেরা বহন না করলে গ্রাহকের ওপর সেই চাপ বাড়ানো হবে। নতুন এই কর আরোপের কারণে মোট কর দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। কারণ সরকারের ১৫ শতাংশ করের সাথে সারচার্জ ১ শতাংশ। মোবাইলের এই কর আরোপের ফলে এখন থেকে কোন গ্রাহক ১০০ টাকা মোবাইলে রিচার্জ করলে ২৫ টাকার বেশি সরকারের খাতে চলে যাবে। এতদিন যা ছিলো ২২ টাকার মতো। এই করারোপের ফলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ আরো বাড়বে।
এনবিআর ও মোবাইল অপারেটরদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোবাইল সেবার ওপর ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আরোপ হয় ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ও ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। আর চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সম্পূরক শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/জেএস