1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বাংলাদেশ করোনাভাইরাসে ঝুঁকির মুখে রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২০, ০১:০০ পিএম বাংলাদেশ করোনাভাইরাসে ঝুঁকির মুখে রয়েছে

বাংলাদেশ করোনাভাইরাসে ঝুঁকির মুখে রয়েছে জানিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশের সব প্রকার পোর্টে (জল, স্থল, আকাশ)থার্মাল স্ক্যানারের মনিটর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ এ দেশের নিরাপত্তার জন্য এটা খুবই দরকার। শুধু চীন নয় যে কোনো স্থান থেকে করোনাভাইরাসের আগমন ঘটতে পারে।

বুধবার (৪ মার্চ) কেরানীগঞ্জের জাজিরা এলাকায় চায়না গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

করোনাভাইরাসে বাংলাদেশ ঝুঁকির মুখে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ খুবই  করোনাভাইরাসে হুমকির মধ্যে রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের প্রচুর মানুষ এ দেশে যাতায়াত করে।

তিনি বলেন, কেউ জানে না মধ্যপ্রাচ্য, কোরিয়া, ইরান, চীন বা ইতালি থেকে এ রোগ নিয়ে বাংলাদেশে আসছে। চীনে করোনাভাইরাস বিশ্ব জুড়ে আক্রান্তের মাত্র ১০ শতাংশ ঘটেছে। বাকি ঘটেছে বিশ্বের ৯০ শতাংশ অন্য দেশে। ঘটনা ও সংখ্যা নিয়ে গুজব রয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, করোনভাইরাসে আক্রান্তদের কোনো সাধারণ হাসপাতালে রাখা ঠিক হবে না। যাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাদের বিশেষ স্থানে রাখতে হবে। চীন ও বাংলাদেশ হাতে হাত ধরে এগিয়ে চললে এ ভাইরাস মোকাবিলা করা কঠিন হবে না। তিনটি মূল কথা আমি বলতে চাই। প্রথমত চীন করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হচ্ছে। চীনের প্রকল্প চালু ও বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। তৃতীয়ত, আমি বাংলাদেশ সরকার ও মানুষকে বলতে চাই, চীন এ সংকট জয় করবে। আজ নয় কাল নয় এখনই। 

তিনি বলেন, যে কোনো প্রকার বড় সমাবেশ পরিহার করতে হবে। যদি ধর্মীয় রীতি পালন করতে হয় তাহলে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা দরকার।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ১১০ মিলিয়ন মাস্ক প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে চীনে। বাংলাদেশে অনেক চীনা নাগরিক বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে। অনেকে নববর্ষে গিয়ে ফিরে আসতে পারেনি। যারা উহান প্রদেশের তারা এখনও ফিরে আসছে না। কিন্তু অন্য প্রদেশের কর্মীরা ফিরে আসতে শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।

চায়না রেলওয়ে ও পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের পরিচালক ওয়াং কুন বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুভার্ব দেখা যাওয়ার পর এ প্রকল্পের কেউ যেন এ রোগে আক্রান্ত না হয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সেতুর প্রকল্প পরিচালক লিউ জিয়ানহুয়া বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে ৬৬৬ জন চীনা নাগরিক এ প্রকল্পে কাজ করেন। মূল সেতুর মোট ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩৯টি শেষ হয়েছে। মোট ৪১টির মধ্যে ২৫টি স্প্যান উঠেছে। সর্বোপরি এ প্রকল্পে ৮৫.৬৫ শতাংশ দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ সহযোগীদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ আগামী বছর শেষ হবে।

রেলওয়ের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। করোনাভাইরাসের জন্য কাজের গতি কমে গেছে। ১৬৯ কিলোমিটার লম্বা রেল লাইনসহ আরো ২০০ কিলোমিটার শাখা লাইন, ১৪টা নতুন স্টেশন তৈরি করা হবে। রেল প্রকল্পে ২৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে।

আরো বক্তব্য রাখেন, প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।

আগামীনিউজ/ইমরান/হাসি
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner