ঢাকাঃ রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের পুড়ে যাওয়া ভবনটি ঘিরে এখনও উৎসুক জনতার ভিড় লেগে আছে। পোড়া ভবনটিকে এক নজর দেখতে শত শত মানুষ আসছেন। কেউ আফসোস করছেন, আবার কেউ বলছেন এক নজর দেখতে আসা।
শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে বেইলি রোডে গিয়ে দেখা যায়— পুড়ে যাওয়া ভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বর্তমান পরিস্থিতি মানুষকে জানাতে সেখানে ভিড় জমিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। ভিড় জমিয়েছেন শতশত উৎসুক জনতাও। সবার আতঙ্কভরা চোখে আর্তনাদ স্পষ্ট। কারোর কণ্ঠস্বর কেঁপে উঠছিল ঘটনার কথা মনে করতেই।
উৎসুক জনতাকে সামাল দিতে মাঝে মাঝেই পুলিশের সদস্যরা বাঁশিতে হুইসেল দিচ্ছেন। তবে পোড়া ভবনটিতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ ঠেকাতে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। এর মাঝে অনেকে উঁকিঝুঁকি দিয়ে সেখানে যাওয়ারও চেষ্টা করছেন। কিন্তু পুলিশ তৎপর থাকায় সেটা অনেকে পারছে না। এরপরও থেমে নেই তারা। কখনও সেলফি আবার কখনও পোড়া ভবনটির ছবি-ভিডিও ধারণ করছেন।
সবুজবাগ থেকে নিয়মিত বেইলি রোডে কোচিং করতে আসেন আয়ান সরকার। ঘটনার দিন বিকেলে তারা কোচিং করে চলে যান। আজও কোচিং করতে এসেছিলেন। কোচিং শেষ করে এক নজর দেখতে ভবনের বিপরীত পাশের মার্কেটের সিড়িতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি ও তার তিন বান্ধবী।
এসময় আয়ান সরকার বলেন, আমরা খবরটা দুই দিন আগে টিভিতে দেখেছি। আজ সরাসরি দেখে চিনতে পারছি না। অথচ আমরাও এর ভেতরে থাকা রেস্টুরেন্টগুলোতে খেয়েছি। খুব খারাপ লাগছে এমনটি দেখে।
সাথে থাকা তার এক বান্ধবী প্রিয়া বলেন, খুব খারাপ লেগেছে এতগুলো মানুষ পুড়ে মারা গেলো।
মতিঝিল থেকে অফিসের কাজে এসেছিলেন সোহান। তিনি বলেন, এ সড়ক দিয়ে বহুবার গিয়েছি। আজ দেখে আফসোস লাগছে।
এম/