1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

আইওএম এর সহায়তায় লিবিয়া থেকে ফিরল ১৪৮ বাংলাদেশী

নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২০, ০৫:০২ পিএম আইওএম এর সহায়তায় লিবিয়া থেকে ফিরল ১৪৮ বাংলাদেশী

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম তাদের ভলান্টারি হিউম্যানাটেরিয়ান রিটার্ন (ভিএইচআর) কর্মসূচির আওতায় লিবিয়া থেকে ১৪৮ জন বাংলাদেশীকে নিরাপদে দেশে ফিরতে সাহায্য করেছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আইওএম ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

অভিবাসীদের ফিরেয়ে আনতে একটি বিশেষ ভাড়া করা বিমানের ব্যবস্থা করে আইওএম। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) লিবিয়ার মিসারত বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে বুধবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিমানটি। ফিরে আসা অভিবাসীদের মধ্যে আছে যুদ্ধে আহত, সমুদ্র পথে ইউরোপ যেতে ব্যর্থ এবং লিবিয়ার জেলে বন্দি থাকা অভিবাসীরা।

ফিরে আসা অভিবাসীরা আইওএম লিবিয়া থেকে সামাজিক সেবা, তৎক্ষণিক সেবা, ফিরে আসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং বাংলাদেশ সরকারের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহয়তা পেয়েছে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে আইওএম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে বাড়ি ফিরতে প্রত্যেকে ৪ হাজার ৭৩০ টাকা, খাবার, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মানসিক সেবা পেয়েছেন। আগামীতে এই অভিবাসীদের অর্থনৈতিক সহযোগিতাও করবে আইওএম, যাতে তরা বাংলাদেশে আয় করে জীবন চালাতে পারে।

ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুরের মো. আকবর চার বছর আগে লিবিয়ায় গিয়েছেন পারিবারের ভাগ্য বদলাতে। তিনি বলছিলেন, ‘গ্রামের দালাল ধরে লিবিয়ায় গিয়েছিলেন। বেতন ছিল খুবই কম। কোনোমতে নিজে চলতে পারতেন। যে কারখনায় আকবার কাজ করতেন হঠাৎ বিমান হামলা হয় সেখানে। ৪ বাংলাদেশীসহ ১৩ জন মারা যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘সে এক ভায়াবহ অভিজ্ঞতা। মনে হলো অল্পের জন্য জীবনটা বাঁচল। সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে ফিরে আসব।।’

এরপর লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবসা হয়ে আইওএম-এর সাথে যোগাযোগ করেন আকবর। সেচ্ছায় দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বুধবার ১৪৮ জনের সাথে আকবর দেশে ফেরেন। তিনি বলেন, ‘এ এক বিরাট উপকার। কারণ আইওএম- এর মাধ্যমে জীবন নিয়ে দেশে ফিরতে পেরেছি।’

প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে ৮ জন শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাদের নিবিড়ভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির জন্য সহায়তা করা হয়েছে।

আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন গিওর্গি গিগাওরি বলেন, ‘লিবিয়ার প্রতিকূল অবস্থা অব্যাহত থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশীদের সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে সর্বদা আমরা তৎপর। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে তাদের তাৎক্ষণিক সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করছি আমরা। একই সাথে ফিরে আসা অভিবাসীদের দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতাও করব আমরা।’

ইউরোপিয় ইউনিয়নের অর্থায়নে, বাংলদেশ সরকার ও লিবিয়া কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪শ’রও বেশি বাংলাদেশীদের দেশে ফিরতে সহযোগিতা করছে আই্ওএম। বিশ্বব্যাপী ভিএইচআর প্রোগ্রামটির সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও সহায়তা দিয়ে থাকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

আগামীনিউজ/শাই/এনএ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner