আমি বেরিয়ে যাই কাজের সন্ধানে,
আমার স্ত্রী-পুত্র চেয়ে থাকে পথের পানে
কখন ফিরব কি নিয়ে।
সারাদিন ঘুরে যখন কাজ পাইনে
এক মুঠো অন্ন নাহি মোর জোটে
ফিরে আসি আমি গৃহে শূন্য হাতে।
পাখিরা শুন্যে উড়ে, এখানে সেখানে খায়
সন্ধ্যায় ফিরে আসে আপন নীড়ে
এভাবেই বেঁচে থাকে মানুষের ভিড়ে।
ওরা মাটিতে খায় আকাশে ওড়ে
আমরা মাটিতে থাকি তবু
খানা নেই মোদের ঘরে।
নিয়ে তৃণ মাটি থেকে ডালে বাঁধে বাসা
থাকি মোরা মাটিতে তবু কোণ ঠাসা
আমাদের আছে শুধু বুক ভরা আশা।
সেদিনের কথা
বুক ভরা ব্যথা
ছেলের দুধ ছিল না
ঘরে ছিল মেহমান।
পরিচিত জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে
সন্ধ্যায় ফিরছি বিফল হয়ে
ত্রাণকর্তা চলে গেল নিরাপত্তা ঘিরে
লাল সবুজের ফ্লাগ উড়িয়ে।
স্ত্রী বলে, আমি তার যোগ্য স্বামী নই
আসলে তাই, উত্তর নিজের কাছেই পাই
নীরবে তার অপবাদ সই।
তাকে নিয়ে পার্কে ঘোরা
বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা
কিছুই হয়নি করা।
শিশু পার্কের দোলনায়
দোলাতে পারেনি শিশু
সোনা-জামদানি বউকে দিইনি কিছু।
বয়স পেরিয়ে যাওয়া মেয়ে
যৌতুক দিয়ে পারিনি দিতে বিয়ে
সমাজ দিয়েছে খেতাব
কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা বলে।