ঢাকাঃ আপনি জানেন কি, রান্নার অন্যতম আদা ওজন কমাতেও খুবই কার্যকর? এছাড়াও আরও অনেক উপকারী দিক আছে এই আদার। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নেওয়া যাক আদার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কেঃ
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়ঃ
বিভিন্ন ধরনের খাবার খেলে অনেক সময় অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া অনেকের এটি সাধারণ সমস্যা হয়ে থাকে। অ্যাসিডিটির সমস্যা শরীরের জন্য খুব বেদনাদায়ক ও অস্বস্তিকর। এমন অবস্থায় নিয়মতি আদা খেলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকা যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চা বা খাবারের সঙ্গে বা অন্য কোনোভাবে নিয়মিত আদা খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা নির্মূল হয়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আদা ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা উপকারী।
হজম বৃদ্ধি করেঃ
নিয়মিত আদা-পানি খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। দ্রুত হজম ছাড়াও গ্যাস-অম্বলে গলা-বুক-পেট জ্বালা করা, বমিভাবসহ এমন সমস্যার সমাধান রয়েছে আদায়। পানীয়টিকে স্বাদ বানাতে মধু, লেবুর রস, পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিতে পারেন।
ওজন কমায়ঃ
খিদে নিয়ন্ত্রণে আদার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। রোজ সকালে আদা কুচি নুন মাখিয়ে খেলে অকারণ খিদে পাওয়া কমবে। গরম পানিতে আদা কুচি বা থেঁতো করা আদা ফুটিয়ে খেলেও একই উপকার মিলবে। একই সঙ্গে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়বে না।
কোলেস্টেরল কমেঃ
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে আদা। এই পাঁচ সমাধান ছাড়া আরও অনেক রোগের উপশমে সাহায্য করে ঘরের নিত্যপণ্য আদা। সুস্থ থাকতে আদা-পানি ছাড়াও আদা চা, আদার জ্যাম, আদার স্মুদি বা স্যুপও খেতে পারেন।
বয়সের ছাপ দূর করেঃ
কাজের চাপ, চিন্তা, ব্যস্ততা এসবের জন্য অল্পবয়সেই মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে। অনেক কিছু মেখে হয়তো বাইরে থেকে সাময়িক ফল পেতে পারেন, কিন্তু স্থায়ী সমাধান কিছু হবে না। এক্ষেত্রে আপনি কাঁচা আদা ব্যবহার করতে পারেন। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-এজিং উপাদান আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান টক্সিন বের করে দেয়। মুখে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ায়। রোজ সকালে খানিক কাঁচা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে নিন। প্রথম দিকে সমস্যা হবে। কিন্তু অভ্যেস করলে উপকার পাবেনই।