রোদে পোড়া দাগ কিংবা বয়সজনিত দাগ- যেটাই হোক না কেন, পিগমেন্টেশন ত্বকের খুবই কমন একটি সমস্যা। নাকের পাশে, ঠোঁটের কোনায়, চোয়ালের দুই পাশে, কপালের দুই পাশের ত্বক তুলনামূলক কালচে হয়ে যাওয়ার সমস্যাটিই হলো হাইপার পিগমেন্টেশন।
ত্বকের এই সমস্যাটি সাধারণত ২৫ বছরের পর বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যাটি পুরোপুরি দূর করা সম্ভব হয় না। তবে প্রাকৃতিক কিছু উপাদানের ব্যবহার এই সমস্যাকে অনেকখানি কমিয়ে আনে। এমন তিনটি উপাদানের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার:
এসিভিতে (অ্যাপল সাইডার ভিনেগার) থাকা পলিফেনল ত্বকের জন্য আলাদাভাবে উপকারিতা বহন করে। ত্বকের যত্নে যারা এসিভি ব্যবহার করেন, পিগমেন্টেশনের সমস্যা কমে যাওয়ার মতো ইতিবাচক তথ্য পাওয়া যায় তাদের কাছ থেকে।
পিগমেন্টেশনের দাগ কমাতে ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার দুই টেবিল চামচ পানিতে মেশাতে হবে। তুলার সাহায্যে এই মিশ্রণটি দাগযুক্ত স্থানে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে ৩-৪ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে প্রতিদিন দুইবার ব্যবহার করতে হবে।
গ্রিন টি :
স্বাস্থ্যের জন্য যতটা উপকারী, ঠিক ততটাই উপকারী ত্বকের জন্যেও। গ্রিনটিতে থাকা টাইরসিনেস (Tyrosinase) পিগমেন্টেশন কমাতে কার্যকর।
ব্যবহারের জন্য গ্রিন টি ব্যাগ গরম পানিতে চুবিয়ে রেখে দিতে হবে। পানি ঠান্ডা হয়ে আসলে টি ব্যাগ তুলে দাগযুক্ত স্থানে দিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিটের জন্য। প্রতিদিন একবার এই নিয়মে গ্রিন টি ব্যবহার করতে হবে।
লাল পেঁয়াজ :
সাধারণ সাদা পেঁয়াজ নয়, ঝাঁজযুক্ত লাল পেঁয়াজ ব্যবহার করতে হবে এক্ষেত্রে। এমনকি বেশ কিছু কাটাছেঁড়ার দাগ দূর করার ক্রিম তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় লাল পেঁয়াজ। লাল পেঁয়াজে রয়েছে স্কিন-হোয়াইটেনিং উপাদান, যা ত্বকের কালচে ভাবকে কমিয়ে আনে।
ব্যবহারের জন্য লাল পেঁয়াজ কুঁচি ত্বকের আক্রান্ত স্থানে আলতোভাবে ঘষে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে। একদিন পরপর এই নিয়মে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে হবে।
আগামীনিউজ/হাসি