1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মেয়েদের সম্পর্কে অজানা ও বিস্ময়কর তথ্য!

ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াস প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ১০:১১ এএম মেয়েদের সম্পর্কে অজানা ও বিস্ময়কর তথ্য!
প্রতীকী ছবি

হৃদস্পন্দন তথা হার্টবিট 

ছেলেদের হার্টের গড় ওজন ৩১৫ গ্রাম
মেয়েদের হার্টের গড় ওজন ২৬৫ গ্রাম 
অর্থাৎ মেয়েদের হার্ট ছেলেদের হার্টের তুলনায় কিছুটা ছোট। 
তাই একই কার্ডিয়াক আউটপুটের জন্য মেয়েদের হার্টকে বেশি বিট করতে হয়। মেয়েদের হৃদস্পন্দন পুরুষদের তুলনায় দ্রুত হয়। 

গড়ে তাদের হার্ট প্রতি মিনিটে ৮০-৯০ বার স্পন্দন করে যা ছেলেদের চাইতে সামান্য বেশি।

রং চেনার ক্ষমতা!

উজ্জ্বল আলোতে দেখার জন্য কোণ সেল আর কম আলোতে দেখার জন্য রড সেল আছে আমাদের চোখের রেটিনাতে। বিভিন্ন প্রকার রং চেনার জন্য কোণ সেলের ভেরিয়েশন দরকার। মেয়েদের কোণ সেলের ভেরিয়েশন ছেলেদের চাইতে বেশি। তাই কালার ডিফারেনশিয়েট করার ক্ষমতা মেয়েদেরই বেশি।  

মেয়েরা রঙের সূক্ষ্ম শেড যেমন ম্যাজেন্টা, সায়ান বা টিল খুব সহজে আলাদা করতে পারে। বিজ্ঞান বলছে, মেয়েদের চোখে রং শনাক্তকারী কোষের কার্যক্ষমতা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি।

ঘ্রাণশক্তি? 

আমাদের নাকের ছাদে ইথময়েড হাড়ের ঠিক উপরে অলফ্যাক্টরি বাল্ব নামক অংশটি ঘ্রাণ শক্তি ডিটেক্টর। মেয়েদের অলফ্যাক্টরি বাল্বে ছেলেদের চাইতে প্রায় দেড়গুণ বেশি সেল বর্তমান। নিউরণ, নন নিউরণ এবং টোটাল সেল সবদিকেই মেয়েদের অলফ্যাক্টরি বাল্ব ছেলেদের চাইতে বেশি সমৃদ্ধ। তাই মেয়েদের ঘ্রাণশক্তি ছেলেদের তুলনায় প্রখর। 

আপনার প্রিয় খাবারের গন্ধ দূর থেকে কে বুঝতে পারে? একটি মেয়ে! কারণ তাদের ঘ্রাণশক্তি আশ্চর্যজনকভাবে তীক্ষ্ণ। এটি প্রাকৃতিকভাবেই তাদের একটি শক্তি।

ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতায় অনন্য!

কিছু কিছু স্টাডিতে পাওয়া গেছে মেয়েদের এন্ডরফিন ছেলেদের চাইতে তুলনামূলক বেশি। এন্ডরফিন শারীরিক ও মানসিক ব্যথা সহ্য করার সামর্থ্য বাড়ায়। সে হিসেবে মেয়েরা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ব্যথাও ভালোভাবে সহ্য করতে পারে। তবে এতে কন্ট্রোভার্সি আছে।

কিছু স্টাডিতে উল্টা পাওয়া গেছে। ছেলেদের ই এন্ডরফিন ৫২% হাইয়ার। 

মাল্টিটাস্কিং

একদল শিক্ষার্থীকে একই সরল অংক কষতে দেওয়ার পর দেখা গেল, ছেলেদের জাস্ট একটা নির্দিষ্ট অংশই সিগন্যাল তৈরী করতেছে। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেকগুলো অংশ থেকেই সিগন্যাল তৈরী হচ্ছে একই ম্যাথ করতে গিয়ে। মেয়েদের ব্রেইনে ইন্টার কানেকশন বেশি, কমপার্টমেন্টালাইজেশন কম, তাই তারা মাল্টি টাস্কার। 
আপনার মা একসঙ্গে রান্না, ফোনে কথা বলা, আর কাজের পরিকল্পনা করছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই! নারীদের মস্তিষ্কের দুই গোলার্ধ এতটাই ভালোভাবে সংযুক্ত যে তারা সহজেই বহু কাজ একসাথে করতে পারে।
এটার ব্যাড ইফেক্ট হচ্ছে, তারা ফোকাসড থাকতে পারে না, দীর্ঘমেয়াদী গোলে। 

স্মৃতিশক্তিতে দারুণ

বিগ পিকচার দেখতে গিয়ে ছেলেরা স্মল মাইনুটস ভুলে যায়। মেয়েদের ডিটেইলিং মেমোরি ভালো। মেয়েরা সম্পর্কিত ঘটনা, বিশেষ মুহূর্ত বা ছোট ছোট বিষয় খুব সহজে মনে রাখতে পারে। তাই আপনি বন্ধুদের জন্মদিন ভুলে গেলেও মেয়েরা সহজে ভুলে না!

কেন ঠাণ্ডা বেশি লাগে?

মেয়েদের স্কিন ব্লাড ফ্লো কম। রেগুলার মেন্সট্রুয়াল ব্লাড লস এটার একটা কারন। 
শুধু কিউটেনিয়াস ব্লাড ফ্লো ই যে কম তা নয়, Raymaud's Disease  ও মেয়েদের বেশি হয়। 
এজন্য তাদের ঠান্ডা বেশি লাগে।  
মেয়েরা প্রায়ই বলে, "গায়ে একটা কম্বল দাও!" কারণ তাদের ত্বক পাতলা এবং শরীরে রক্তপ্রবাহের ধরন পুরুষদের চেয়ে আলাদা। তাই তারা ঠাণ্ডা বেশি অনুভব করে।

নারীদের দীর্ঘায়ু

বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটা বড় কারন (১ম/২য় বৃহত্তম কারন) হার্ট ইস্যু। ইস্ট্রোজেন কার্ডিওপ্রোটেক্টিভ আই মিন হার্টের জন্য ভালো। 

তাই গবেষণা বলছে, মেয়েরা গড়ে ৭ বছর বেশি বাঁচে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকার কারণে এই প্রাকৃতিক আশীর্বাদ।

Sensory Area 

সেনসরি এরিয়া নিয়ে ডীল করে ব্রেইনের প্যারাইটাল লোব। 

যদিও দেখা গেছে ছেলেদের প্যারাইটাল লোবের সার্ফেস এরিয়া বড়, গ্রে ম্যাটার তথা নিউরণ সংখ্যা মেয়েদেরই বেশি। 

এজন্য বিভিন্ন রকমের সেন্স যেমন তাপ, চাপ, স্পর্শ এগুলির তীক্ষ্ণতা মেয়দের ই বেশি। 

অন্তর্দৃষ্টি বা ইনটুইশন

অন্তর্দৃষ্টি তথা ইনটুইশন আসে ব্রেইনের হিপ্পোক্যাম্পাস থেকে। মেয়েদের হিপ্পোক্যাম্পাসে রক্ত চলাচল ছেলেদের চাইতে বেশি। এজন্য মেয়েদের ইনটুইশন স্ট্রংগার। 

নারীদের অন্তর্দৃষ্টি বা ইনটুইশন এতটাই শক্তিশালী যে তারা আসন্ন বিপদের সংকেত বা কারো মনোভাব সহজেই বুঝতে পারে। এটা তাদের মানসিক শক্তির একটি বড় প্রমাণ।

কথা বলার ক্ষমতা!

ব্রেইনের কথা বলার জন্য নির্দিষ্ট এরিয়া হচ্ছে "ব্রোকা' স এরিয়া। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই এরিয়াটি ২০% বৃহত্তর। তাই মেয়েদের শব্দভান্ডার তথা ভোকাবোলারি বেটার। 

আরো মজার ইনফো আমরা পেয়েছি কগনিটিভ নিউরোলোজির রিসার্স গুলিতে। 

ছেলেদের কথা বলার সময় ব্রেইনের শুধু ব্রোকাস এরিয়া থেকেই সিগনাল আসে, অন্য এরিয়া থেকে নয়। মেয়েদের কথা বলার সময় ব্রেইনের বিভিন্ন এরিয়া থেকেই সিগনাল আসে। 

একটি গবেষণায় জানা যায়, নারীরা দিনে গড়ে ২০,০০০ শব্দ ব্যবহার করে, যা পুরুষদের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। আবেগপ্রবণ স্বভাব এর অন্যতম কারণ।

ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াস 
মেডিসিন স্পেশালিস্ট এন্ড কগনিটিভ নিউরোলোজিস্ট 
সহকারী অধ্যাপক এন্ড ক্লিনিক্যাল কো অর্ডিনেটর
ড্রিমার্স কনসাল্টেশন এন্ড রিসার্চ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner