ঢাকা : ট্রাফিক সিগন্যালের লাইট অব্যবস্থাপনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়ে অপারেটিভ সিগন্যাল সিস্টেম মনিটরিংয়ে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রিটের বিবাদী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরির্দশক, ডিএমপি কমিশনার, কমিশনার ট্রাফিক ও দুই সিটি করপোরেশনের সিইওসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে, ট্রাফিক সিগন্যালের বিধি প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাডিশনাল কমিশনার ট্রাফিককে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিষ্টার মনোজ কুমার ভৌমিক।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুলাইমান হাওলাদার মিন্টু।
এর আগে অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটে ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়ে অপারেটিভ সিগন্যাল সিস্টেম মনিটরিংয়ে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিষ্কৃয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আইনজীবী জানান, দিনের পর দিন ট্রাফিক সিগন্যালের অব্যবস্থাপনার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটছে। ঠিকঠাক মতো বাতি জ্বলছে না। দেখা গেছে বাতি জ্বলছে তার পরও ট্রাফিক পুলিশ হাতের ইশারায় গাড়ী থামিয়ে আবার চলতে বলছে।
আগামীনিউজ/আপি/এস