ঢাকাঃ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম হাসিবুল হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন দুপুর ১টার দিকে রাসেলকে ধানমন্ডি থানার প্রতারণার মামলায় এক দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। এ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে রাসেল ও তার স্ত্রীর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম হাসিবুল হক শুনানি শেষে রাসেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর তার স্ত্রীর রিমান্ড নামুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তারও আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুল ইসলাম।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিটন তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি হওয়ার পর বিকেলেই অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানেই চলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।