1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

৬ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা সেই ‘ধর্ষক’ মজনুর

ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০, ১০:৩১ পিএম ৬ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা সেই ‘ধর্ষক’ মজনুর
ছবি সংগৃহীত

ঢাকাঃ দেশব্যাপী আলোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার একমাত্র আসামি মো. মজনু ৬ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছেন। তবে পুলিশের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম কামরুনাহারের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ ঘটনা ঘটে।

এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় মজনুকে। তার উপস্থিতিতেই ধর্ষিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বাবা মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।

আদালতের হাজতখানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ছয়তলা থেকে মজনুকে নিচে নামানোর সময় সে ছয়তলা থেকে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছেন। এর আগে গত (২৬ আগস্ট) কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি চার্জগঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। সেখানে সে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি মজনুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্তি আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম তাকে জেরা করেন। এদিকে এদিন সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামির কাঠগড়ায় মজনু অনেক অসংলঘ্ন আচরণ করেছেন মর্মে সূত্রে জানা গেছে। মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হওয়ায় যা প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মামলায় সোমবারও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য আছে।

ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ জানান, মামলাটির বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণকালীন কোনো তথ্যই প্রকাশ করা যাবে না।

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঘটা এই ঘটনায় গত ১৬ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক মজনুকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগপত্রে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।

গত (১৬ আগস্ট) ট্রাইবুনালের বিচারক মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং গত ২৬ আগস্ট  আদালত অভিযোগ গঠন করেন। 

উল্লেখ্য, গত (০৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাস স্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

গত (০৬ জানুয়ারি) রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্ত ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলাটি তালিকাভুক্ত করে থানা কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর ৮ জানুয়ারি অভিযুক্ত ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। মজনুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এরপর ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে মজনু।

আগামীনিউজ/জেহিন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner