ঢাকা : দেশের অভিজাত ১৩টি ক্লাবসহ সারা দেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। তবে আপিল নিষ্পত্তি না হাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্লাবগুলোতে অভিযান চালাতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ক্লাবগুলোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম। জুয়ার মামলায় আউনজীবী হওয়ায় এ সময় সর্বোচ্চ আদালত তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এ মামলায় সংবিধানের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যা দুঃখজনক।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। অন্যান্য ক্লাবগুলো হলো-গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।
রুলে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চান আদালত।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ বলেছিলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
আগামীনিউজ/মিজান