ঢাকাঃ সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে যুক্ত সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়। এতে ৯ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। যদিও প্রাণহানির বিষয়টি স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হামলার শিকার ওই স্থাপনাটি অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে হামলার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার মার্কিন যুদ্ধবিমান পূর্ব সিরিয়ায় ইরান-সংযুক্ত অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন।
গত প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি নিয়ে দ্বিতীয়বার সিরিয়ায় ইরানের অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র। মূলত মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে থাকে দেশটি।
অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এবং সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর ব্যবহৃত পূর্ব সিরিয়ার একটি স্থাপনায় মার্কিন সামরিক বাহিনী আত্মরক্ষামূলক হামলা চালিয়েছে। দুটি মার্কিন এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ওই অস্ত্র সংরক্ষণাগারে হামলা চালানো হয়।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আইআরজিসি-কুদস ফোর্সের সহযোগীরা ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক যে আক্রমণ চালিয়ে আসছে সেটিরই প্রতিক্রিয়ায় এই নির্ভুল আত্মরক্ষামূলক হামলা চালানো হয়েছে। নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আরও ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।’
এদিকে লন্ডনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, বুধবারের হামলায় সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ৯ জন নিহত হয়েছেন। যদিও প্রাণহানির এই সংখ্যাটি স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানিয়েছে এএফপি।
এর আগে গত অক্টোবরের শেষের দিকে সিরিয়ায় ইরানের দু’টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বিমান বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশেরই এই হামলা চলানো হয় বলে সেসময় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন।
অস্টিন সেসময় আরও জানান, এই স্থাপনা দুটি ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট গ্রুপ ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড এবং ইরানের মদদপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করত।
এছাড়া ইরান যদি ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের ‘সুযোগ নিয়ে’ মার্কিন বাহিনীকে আক্রমণ করে, সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও হামলা হবে বলেও সেসময় সতর্ক করে দিয়েছিলেন মার্কিন এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এমআইসি