ঢাকাঃ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতদের মধ্যে ১১ জন মার্কিন নাগরিক আছে বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউজ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে এখন আমরা জানি, নিহতদের মধ্যে ১১ মার্কিনি রয়েছে। যাদের অনেকে ইসরায়েলে সেকেন্ড হোম বানিয়ে থাকছিল।
বিবৃতিতে তিনি জানান, নিহত ১১ জন ছাড়াও আরও অনেকে এখনো হিসাবের বাইরে আছে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, দেশে হোক কিংবা বিদেশে, মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানই রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
বাইডেন বলেন, আমরা এখনো এটা নিয়ে কাজ করছি, নিশ্চিত হতে যে কত জন বন্দি আছে। তবে এটা মোটামুটি ধরে নেওয়া যায় যে, হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্যে আমেরিকানরা আছে।
তিনি জানান, তিনি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তারা ইসরায়েলের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করে এবং বন্দিদের মুক্ত করার ব্যাপারে যা যা করণীয় তার সবই যেন করা হয়। এ ব্যাপারে ইসরায়েলিদের প্রেয়াজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতেও বলেছেন তিনি।।
বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া আশ্বাসের কথা পুনরায় উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমার রোববার সরাসরি কথা হয়েছে এবং আমি তাকে বলেছি, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলের যেবেকানো পদক্ষেপ গ্রহণের অধিকার আছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে আছে।
গত শনিবার ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে আকস্মিক হামলা শুরু করে হামাস। এই হামলায় একদিনেই সাতশর বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।
এরপর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং প্রায় তিন হাজার নারী-পুরুষ-শিশু আহত হয়েছে। অব্যাহত হামলায় গাজার সড়কগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে, যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে ধ্বংসস্তূপ , শহরের বাতাসে কেবল ধূলা আর বারুদের গন্ধ।
বিমান হামলার পর এবার ইসরায়েল গাজায় স্থল হামলাও চালাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সোমবার তারা তিন লাখ রিজার্ভ সেনা তলব করার কথা জানিয়েছে এবং গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে। সবশেষ চিত্রে দেখা গেছে, ইসরায়েলি রিজার্ভ ফোর্স গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশে সোমবার থেকেই গাজায় খাবার, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজা ভূখণ্ড আগে থেকেই প্রায় অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। সেখানে খাবারসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছানো হয় ইসরায়েলের ভেতর দিয়ে।
এমআইসি