ঢাকাঃ ইউক্রেন যুদ্ধ, বন্ধ হয়ে থাকা শস্যচুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করা ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে রাশিয়া যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র ও প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী রাশিয়ার পর্যটন শহর সোচিতে হবে এই বৈঠক।
এরদোয়ানের দপ্তরও সোচি শহরে দুই নেতার বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে, তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কবে নাগাদ রাশিয়ায় যাবেন— সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য তার দপ্তর জানায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কৃষ্ণসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গম রপ্তানিকারী দেশ ইউক্রেনের শস্যগুদামগুলোতে আটকা পড়ে লাখ লাখ টন গম, ভুট্টা, ও সূর্যমুখীর বীজ।
এতে ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারগুলোতে গম ও ভোজ্যতেলের যোগান সংকট শুরু হয়, ফলে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়তে থাকে খাদ্যশস্য আর ভোজ্যতেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের আগস্টে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত বছর আগস্টে চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে সেটির মেয়াদ। সর্বশেষ মেয়াদ বৃদ্ধির সময়সূচি অনুযায়ী, ১৭ জুলাই ছিল এই চুক্তির শেষ দিন।
চুক্তি সম্পাদনের আগে নিজেদের উৎপাদিত সার, শস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ সেই শর্ত না মানায় মেয়াদের শেষ দিন চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় রাশিয়া।
এরদোয়ানের সঙ্গে পুতিনের সম্পর্ক বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। ২০২২ সালের শস্যচুক্তিতে রাশিয়াকে আনতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। আশা করা হচ্ছে, এবারও দুই নেতার বৈঠকে দ্বিতীয় একটি চুক্তির ব্যাপারে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হবে।
সূত্র : আরটি
এমআইসি