
ঢাকাঃ গ্রিসের দক্ষিণ উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বুধবার ভোরের দিকে নৌকাডুবির এই ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও প্রায় ১০০ জনকে। বুধবার গ্রিসের উপকূলরক্ষী বাহিনীর বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রিস ও আলবেনিয়াকে ইতালি এবং সিসিলি দ্বীপ থেকে পৃথককারী আয়োনিয়ান সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় বুধবার এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা জটিল হয়ে পড়েছে বলে গ্রিসের উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে।
দেশটির নৌবাহিনীর জাহাজের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর বিমান, উড়োজাহাজ এবং ওই এলাকায় থাকা ছয়টি নৌকা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
গ্রিসের উপকূলরক্ষী বাহিনী বলেছে, বুধবার ভোরের দিকে পেলোপনিস উপকূলের কাছে মাছ ধরার একটি বড় নৌকা ডুবে গেছে। ওই নৌকায় প্রচুরসংখ্যক অভিবাসী ছিলেন। নৌকাডুবির এই ঘটনায় উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক পরিসরের উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নৌকাডুবিতে নিখোঁজদের উদ্ধারের পর কালামাতায় নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে করে বন্দরের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী বলছে, ইউরোপের সীমান্ত ও উপকূলরক্ষী সংস্থা ফ্রন্টেক্সের একটি নজরদারি বিমান মঙ্গলবার বিকালের দিকে নৌকাটিকে সাগরে ভাসতে দেখেছিল। তবে নৌকাটির যাত্রীরা সহায়তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
পরবর্তীতে ফ্রন্টেক্স জানায়, নৌকায় থাকা কেউই লাইফ জ্যাকেট পরেননি। নৌকায় ভাসতে থাকা অভিবাসীরা কোন দেশের নাগরিক, তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রকাশ করেনি ইউরোপের এই সীমান্ত সংস্থা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিবাসীরা লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরুর পর ইতালির দিকে যাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বুধবার গ্রিসের বন্দর পুলিশ বলেছে, ক্রিট উপকূল থেকে প্রায় ৮০ জন অভিবাসীকে নিয়ে ভাসতে থাকা একটি পালতোলা নৌকা উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের টহল দল।
উল্লেখ্য, লিবিয়া থেকে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার একটি সাধারণ রুট হচ্ছে ভূমধ্যসাগর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায়ই এই পথে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। সেখানে প্রায়ই শোনা যায় এমন দুর্ঘটনার খবর। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বহু মানুষ নানা সংকটের মধ্যে পড়ে অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে সেই সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেছে।
বুইউ