ঢাকাঃ দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় পর বিশ্বব্যাপী কোভিড জরুরি অবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। তবুও প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে এখনও প্রতি চার মিনিটে মৃত্যু হচ্ছে কমপক্ষে একজনের। সংক্রামক এই ভাইরাসকে ঠিক কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সে সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর এখনও পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। দূর্বল জনগোষ্ঠী এবং যেসব দেশে টিকার হার কম তারা এখনও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ মানুষের জন্য করোনাভাইরাসের হুমকি কমলেও বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যার একটি অংশের জন্য এটি এখনও অত্যন্ত বিপজ্জনক হিসেবে রয়েছে গেছে। আর তাই সংক্রামক এই ভাইরাসকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ বা মোকাবিলা করা যায় তা বর্তমানে বড় ধরনের প্রশ্ন হিসেবে উঠে এসেছে।
ব্লুমবার্গ বলছে, জনসংখ্যার যে অংশের জন্য কোভিড এখনও অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে তাদের সংখ্যা ঠিক কত তা জানা না গেলেও এই সংখ্যাটি অনেকের উপলব্ধির চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিড এখনও নেতৃস্থানীয় পর্যায়েই রয়ে গেছে।
এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হলো এমন একটি ভাইরাসকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় যেটি বেশিরভাগ মানুষের জন্য কম হুমকি হলেও জনসংখ্যার একটি অংশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক থেকেই যাচ্ছে? বিষয়টি অনেকেই হয়তো উপলব্ধি করতে পারবেন না। কোভিড এখনও একটি নেতৃস্থানীয় ঘাতক ব্যাধি হিসেবেই রয়ে গেছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
এ বিষয়ে মিসৌরিন ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স সেন্ট লুইস হেলথ কেয়ার সিস্টেমের ক্লিনিক্যাল এপিডেমিওলজি সেন্টারের পরিচালক জিয়াদ আল আলি বলেন, বিশ্বের সাধারণ মানুষের এখন একটাই আকাঙ্ক্ষা, মহামারিকে ছাড়িয়ে যাওয়া এবং কোভিডকে আমাদের পেছনে ফেলে আসা। কিন্তু এটা আসলে এতটা সহজও নয়। এখনও অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে এবং বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আমাদের ওপর থেকে এই বোঝা কমাতে হবে।
যদিও চলতি মাসের শুরুতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে, কোভিড এখন আর জরুরি অবস্থা জারির মতো পরিস্থিতিতে নেই। এমনকি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের সরকার লকডাউন এবং বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৯১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮। এর মধ্যে মারা গেছে, ৬৮ লাখ ৮১ হাজার ৪০১ জন। তবে ইতোমধ্যেই এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ৬৬ কোটি ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৯ জন।
বুইউ