ঢাকাঃ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের অভিবাসন-প্রত্যাশীদের বহনকারী দুটি নৌকা তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে ডুবে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) তিউনিশিয়ার কোস্টগার্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাতে উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি দল ভূমধ্যসাগরের তিউনিশিয়া উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকার ৫৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত ও ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তদন্তের দায়িত্বে থাকা আদালতের মুখপাত্র ফৌজি মাসমুদি বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “পৃথক দুটি নৌকা ডুবে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার একটি নৌকা ডুবে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরদিন বুধবার অপর একটি নৌকা ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।”
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তিউনিশিয়া ও লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টার সময় নৌকা ডুবে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা লোকজনের প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে পূর্ব-মধ্য তিউনিশিয়ার স্ফ্যাক্স উপকূল।
তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ গত ২১ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিবাসনের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে তিউনিশিয়ার জাতীয় পরিচয় পরিবর্তন করা। তার এই মন্তব্যে আফ্রিকা ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক বিতর্ক এবং সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা কাইস সাইদের এই মন্তব্যকে বর্ণবাদী উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানায়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ইউরোপের পথে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় এই পথকে সবচেয়ে মারাত্মক রুট হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
২০১৪ সাল থেকে এই পথে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ নিহত অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।
বুইউ