ঢাকাঃ তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প হওয়ার পর রোববার ৭ম দিন। এখন পর্যন্ত দুই দেশে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে বাঁচার আশা করছেন অনেকে। হাজার হাজার মানুষ এখনও আটকে আছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। উদ্ধার অভিযান চলছে পুরোদমে।
শুধু তুরস্কে মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজারের বেশি মানুষ। খবর ফোর্বসের
জাতিসংঘ বলেছে যে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে।
সিরিয়ার সরকার তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দেশের ধ্বংসাত্মক ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও এর কর্মকর্তারা ধারণা করছেন যে, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ৬ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশ দুটিতে। ত্রাণের জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।
সোমবার ভোরের দিকে যখন মানুষজন ঘুমিয়ে ছিলেন ঠিক তখনই আঘাত হানে এই ভূমিকম্পে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা( ইউএসজিএস) জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে।
সিরিয়া, লেবাননসহ এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশেও এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তুরস্ক ও সিরিয়া।
বুইউ