রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) চলমান মামলায় মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দুই দিনের মিয়ানমার সফর শেষে এ খবর প্রকাশ করেছে মিজিমা ডটকমসহ দেশটির অন্যান্য সংবাদমাধ্যম।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শি জিনপিংয়ের সফর থেকে মিয়ানমারের জন্য একটি বার্তা এসেছে। আর তা হলো রাখাইন সঙ্কট নিয়ে আইসিজে-তে চলমান মামলাতেও মিয়ানমারের পাশে রয়েছে চীন।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম জানায়, আইসিজে-তে বিচারের মুখোমুখি হয়ে কঠিন সময় পার করছে মিয়ানমার। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই চীনা প্রেসিডেন্ট দুদিনের জন্য মিয়ানমার সফর করেছেন। শি জিংপিংয়ের এই সরকারি সফর থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায় মিয়ানমারের পাশে আছে চীন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের আমন্ত্রণে গত ১৭ জানুয়ারি মিয়ানমার সফরে যান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর জাম্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর করা গণহত্যা মামলায় হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বিচারের মুখোমুখি হয় মিয়ানমার। ঠিক তার আগেই মিয়ানমার সফর করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
তিনি দুদিনের সফরে সাক্ষাত করেন প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, স্টেট কাউন্সেলর অং সাং সু চি’র সঙ্গে। সেসময় মিয়ানমারের সঙ্গে আরো বেশি কৌশলগত সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন ওয়াং ই।
প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের সঙ্গে রাজধানী নেপিদোতে সাক্ষাত করে ওয়াং ই বলেছিলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারকে তার নিজস্ব সমস্যা সমাধানে সমর্থন দেবে বেইজিং। বৈধ অধিকার, জাতীয় মর্যাদা, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় সার্বিক বিষয়ে মিয়ানমারের পাশে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অবিচল সমর্থন থাকবে চীনের।
আগামীনিউজ/মুনা/এএম