ঢাকাঃ করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ কমলেও এখনো অস্তিত্ব রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিভিন্ন দেশ এখনো করোনার বিস্তার রোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। যদিও মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। মানুষও করোনার ভয় পার করেছেন। কয়েকদিনের তুলনায় আবারও বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৫৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৮ লাখ ২২ হাজার ৫৬৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৩ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৯ জনের। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ৭১৩ জনের। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৩ কোটি ৬০ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩৫ জনের বেশি মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪২ জন এবং মারা গেছেন ১০৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫০ হাজার ৪১৪ জন মারা গেছেন।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯ লাখ ৪ হাজার ৪২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৪ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭১ হাজার ৫০১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫৪ জনের।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ১৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১০৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৭ লাখ ৭৮ হাজার ৯১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৬ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৩৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৯২ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৯ হাজার ৯১১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৬২ হাজার ২৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮২৯ জনের। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ১৯১ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৯২৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ২৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৭১১ জনের। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮০৬ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ২৪২ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৯১ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এমবুইউ