ঢাকাঃ ছাপার কাগজ ফুরিয়ে গেছে, নগদ অর্থ সংকটে বন্ধ আমদানি। অগত্যা শ্রীলঙ্কার পশ্চিম প্রদেশের লক্ষাধিক স্কুলের পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকার।
এক বিবৃতিতে পশ্চিম প্রদেশের শিক্ষা বিভাগ বলছে, ‘‘স্কুলগুলো পরীক্ষা আয়োজন করতে পারবেন না কারণ প্রয়োজনীয় কাগজ এবং কালি আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা সুরক্ষিত নেই।’’ শ্রীলঙ্কার শিক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার (২১ মার্চ) থেকে কাগজের তীব্র ঘাটতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে নির্ধারিত সকল পরীক্ষা।
সরকারী সূত্র জানায় পরীক্ষা বন্ধের ফলে দেশটির ৪.৫ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন চরম ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলো বছরের শেষে ছাত্রদের পরবর্তী গ্রেডে উন্নীত করা হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার অংশ।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে তার সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকটের সাথে লড়াই করছে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতির কারণে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশটি খাদ্য, জ্বালানী এবং ওষুধ পরিষেবায়।
২২ মিলিয়ন নগদ অর্থের সংকটে পড়া দেশটি তার ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক ঋণ সংকট সমাধান করতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শরণাপন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি আইএমএফের বেলআউট চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের অনুরোধ বিবেচনার পক্ষে মত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এছাড়াও জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ কেনার জন্য ভারত থেকে ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহ করেছে দেশটি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কা তার তার প্রধান ঋণদাতা দেশ চীনকে ঋণ পরিশোধ বন্ধ করতে সাহায্য করার আবেদন করে। প্রায় ৬.৯ বিলিয়ন ঋণের ভারে ধুঁকতে থাকা দেশটিকে সাহায্যে এখনও কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি বেইজিং।
সূত্র: আলজাজিরা
এমএম