ঢাকাঃ দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭ জনই শিশু। প্রবল বৃষ্টিপাতের পর সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে দেশটির সাও পাউলো প্রদেশে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
ব্রাজিলের জননিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সাও পাওলো রাজ্যের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার কবলে পড়ে দুর্ঘটনাজনিত কারণে আহত হয়েছেন আরও নয়জন। এখন পর্যন্ত রাজ্যটিতে নিখোঁজ রয়েছেন আরও চারজন। রাজ্যের পাঁচশ মানুষ অস্থায়ী কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
সাও পাওলো রাজ্য গভর্নর জোয়াও দোরিয়া রোববার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায় তিন কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফেডারেল সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আঞ্চলিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
রয়টার্স বলছে, ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বৃহত্তর সাও পাউলোর আরুজা, ফ্রান্সিসকো মোরাতো, এম্বু দাস আরতেস এবং ফ্রাংকো দ্য রোচা শহরগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহত্তর সাও পাওলোর আশেপাশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ পৌরসভাগুলোর মধ্যে রয়েছে আরুজা, ফ্রান্সিসকো মোরাতো, এমবু দাস আর্টেস এবং ফ্রাঙ্কো দা রোচা। রাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ের কারণে ভারজেয়া পাওলিস্তা, ক্যাম্পো লিম্পো পাওলিস্তা, জাউ, ক্যাপিভারি, মন্টেমোর এবং রাফার্ডেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডিসেম্বর থেকে ভারি বর্ষণের কারণে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল বন্যার কবলে পড়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের ফসল নষ্ট হচ্ছে। এমনকি মিনাস জেরাইস রাজ্যে খনির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গতবছর অক্টোবরে ব্রাজিলে বর্ষাকাল শুরু হয়। এরপর থেকে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে উত্তরাঞ্চলের বাহিয়া রাজ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিনাস জেরাইস রাজ্যে মারা গেছে ১৯ জন। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে বহু মানুষ।
আগামীনিউজ/বুরহান