ঢাকাঃ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ থেকে এবার ফ্রান্সেও কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে সক্ষম মানুষেরা দূরে থেকে কাজ করবেন। এছাড়া কোনও ঘরোয়া আয়োজনেও ২ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম করা যাবে না।
গত শনিবার ফ্রান্সে এক লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়। মহামারি শুরুর পর থেকে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।
তবে প্রধানমন্ত্রী জেন ক্যাসটেক্স নববর্ষের আগে কারফিউ আরোপের সিদ্ধান্ত আটকে দেন। পরে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মনে হচ্ছে মহামারি হচ্ছে কোনও শেষ না থাকা ফিল্ম।
এদিকে ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান বলেন, প্রতি দুই দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে। সংক্রমণের নতুন ঢেউ সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন তিনি।
ঘরের বাইরে জনসমাগমের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। যে কোনো স্থানে ৫ হাজার মানুষ সমবেত হতে পারবেন বলে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী নোটিশের আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে নাইটক্লাব। ক্যাফে এবং বারগুলোতে কেবলমাত্র টেবিল সেবা দেওয়া যাবে। বাড়ি থেকে কাজ চালাতে সক্ষম কর্মীরা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বাড়িতে থাকবেন। শহরের কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকবে।
তবে পূর্ণ লকডাউন কিংবা নববর্ষের আগে কারফিউ আরোপের ঘোষণা দেননি প্রধানমন্ত্রী জেন ক্যাসটেক্স। পরিকল্পনা মোতাবেক স্কুল খুলবে ৩ জানুয়ারি।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী ফ্রান্সে গড়ে প্রতিদিন ৭০ হাজারের বেশি নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে। সোমবার এক হাজার ছয়শ’ জনকে হাসপাতালে ভর্তির তথ্য জানা গেছে। এনিয়ে দেশটির হাসপাতালগুলোতে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আগামীনিউজ/বুরহান