ঢাকাঃ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ লকডাউন এবং টিকা বাধ্যতামূলকের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে। গতকাল শনিবার ভিয়েনাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সরকারের কোভিড নীতির বিরোধিতা করে বিক্ষোভ হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
টানা চতুর্থ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিক্ষোভে অংশ নেন পশ্চিম ইউরোপের দেশটির লোকজন।
গত মাসে অস্ট্রিয়া টিকা না নেওয়া লোকজনের ওপর লকডাউন আরোপ করে। আজ রোববার তা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। অস্ট্রিয়ায় আজ লকডাউন শেষ হলেও কড়াকড়ি থাকছে। সে সময় আরও কয়েকটি দেশ একই সঙ্গে লকডাউন ও আংশিক লকডাউন আরোপ করে।
অস্ট্রিয়ার ডানপন্থি ফ্রিডম পার্টি এই বিক্ষোভে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে টিকা বাধ্যতামূলকের যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে ফ্রিডম পার্টি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
বিশেষ শারীরিক অসুস্থতা ব্যতীত ১৪ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক হচ্ছে অস্ট্রিয়ায়। এ সিদ্ধান্তের বিরোধীরা বলছেন, টিকা নেবে কি নেবে না, সে সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে থাকতে হবে।
অস্ট্রিয়ার সরকার বলছে, কাউকে জোর করে টিকা দেওয়া হবে না। তবে যারা নিতে চাইবে না, তাদের তিন হাজার ৬০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।
৮৯ লাখ জনসংখ্যার দেশ অস্ট্রিয়ায় এ পর্যন্ত ১২ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আর ১৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
অস্ট্রিয়ার প্রায় ৬৮ শতাংশ মানুষ পূর্ণডোজ টিকা নিয়েছেন। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এটি সর্বনিম্ন টিকাদানের হারে অন্যতম। সূত্র : বিবিসি
আগামীনিউজ/নাসির