ঢাকাঃ উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর। গত ছয়দিনে অস্ত্রধারীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯ সদস্য। এমন পরিস্থিতিতে অঞ্চলটিতে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
শুক্রবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। একই দিন নিখোঁজ দুই সেনা সদস্যদের লাশ উদ্ধার করেছে কাশ্মীর পুলিশ।
ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন।
সোমবার থেকে অঞ্চলটির পুঞ্চ জেলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাগুলি চলছে। এতে এখন পর্যন্ত নয় ভারতীয় সেনা নিহত হলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কেউ নিহত হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
এমন পরিস্থিতিতে অঞ্চলটিতে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার সকাল থেকে নার খাস বন এলাকায় ফের বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় বাহিনী।
অভিযানে অস্ত্রধারীর নিহতের খবর পাওয়া না গেলেও দুই শ্রমিকসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি ভারতের উত্তর প্রদেশে বলে জানা গেছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ প্রধান বিজয় কুমার বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিছু জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। তবে সন্ত্রাসীরা আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যায়। একটি তিন তলা ভবন আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যার কারণে অভিযান শুরু করতে একটু দেরি হয়ে যায়। আর সেই সুযোগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে। অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে, অভিযানের সময় দুই সেনা সদস্য নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কাশ্মীরের অস্ত্রধারীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় জোরদার করা হয়েছে সেনা টহল।
গত বৃহস্পতিবার থেকে জম্মু মহাসড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে সশস্ত্র আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে থাকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
নয়াদিল্লির দাবি, পাকিস্তানের মদদেই সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে এসব সংগঠন। যদিও শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইসলামাবাদ।
আগামীনিউজ/নাসির