ঢাকাঃ নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই সরকার গঠনে সময় নিচ্ছে তালেবান। তবে দ্রুতই তারা সরকার গঠন করতে পারে। আর তুলনামূলক অপরিচিত নেতা মোল্লা হাসান আকুন্দ আসতে পারেন নতুন সরকারের নেতৃত্বে।
তালেবান প্রতিষ্ঠা মোল্লা ওমরের ছেলে ইয়াকুব হতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এরই মধ্যে তালেবানের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাওয়া হয়েছে। রাশিয়া, চীন, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। আর সন্ত্রাসবাদ বাড়লে যুক্তরাষ্ট্র আবারো আফগানিস্তানে অভিযান পরিচালনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান সিনেটররা।
এরই মধ্যে খুলেছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস হচ্ছে মাঝখানে পর্দা বসিয়ে। যার এক পাশে নারী, অন্যপাশে পুরুষ। তবে নারীদের বিষয়ে এখনো উদ্বেগ জানাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
কয়েক দিন ধরে তীব্র লড়াই চলা উত্তরাঞ্চলীয় পানশির পুরোপুরি তালেবান নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করলেও সেখানকার প্রতিরোধকারীরা বলছেন ভিন্ন কথা। ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের দাবি, তারা পরাজিত হয়নি, লড়াই চলবে। কিন্তু তালেবান সেখানে নিজেদের পতাকা উড়িয়েছে। যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান।
তালেবান নেতা মোল্লা হিদায়েত উল্লাহ বদর বলেন, যারা আমাদের অর্থাৎ তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তাদের মাফ করে দেওয়া হয়েছে। যারা পালিয়ে গেছেন তারাও ফিরে আসুন, আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করব।
তালেবানের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাওয়া হয়েছে। নতুন সরকার গঠনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে গোষ্ঠীটি। নতুন মুখ আনতে গিয়েই সময় লাগছে বেশি। মোল্লা আবদুল গনি বারাদার নন, তুলনামূলক কম পরিচিত নেতা মোল্লা হাসান আকুন্দ পরবর্তী আফগান সরকারের নেতৃত্বে আসতে পারেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে।
তবে হাসান আকুন্দ জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা রয়েছেন। নয়া সরকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হতে পারেন নিহত তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে ইয়াকুব। অন্যদিকে, হক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজউদ্দিন হক্কানি পেতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ।
সরকার গঠন হলে সবার আগে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা এসেছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানেও রাশিয়ার পক্ষ থেকে অংশ নেবেন প্রতিনিধিরা। আর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে আফগান সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। এদিকে কাতারের আমির আফগান ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
এ অবস্থায় মার্কিন শীর্ষ রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন সেনারা ভবিষ্যতে আবার আফগানিস্তানে ফিরে যাবে। সন্ত্রাসবাদ বাড়লে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অন্যদিকে আফগানিস্তানে ব্রিটেনের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করা তিন শতাধিক আফগানকে সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টে তিনি এ কথা জানান।