ঢাকাঃ চীনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত করতে নির্বাসিত উইঘুরদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। জিনজিয়াংয়ে বসবাসরত মুসলমানদের ওপর এটিকে একটি আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দোহাভিত্তিক আলজাজিরার খবরে এসব তথ্য মিলেছে। এর আগে চীনা অপরাধের প্রমাণস্বরূপ গত জুলাইয়ে আদালতে বিপুল কাগজপত্র সোপর্দ করেছিলেন তারা।
তাদের অভিযোগ, ১০ লাখের বেশি উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা নামে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে এবং নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করে দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু ফাতু বেনসুদার অফিস সোমবার এক প্রতিবেদনে জানায়, এই তদন্ত করতে তারা সক্ষম না। কারণ এসব অপরাধ চীনা ভূখণ্ডে ঘটেছে, যারা হেগশহরভিত্তিক আইসিসিতে সই করেনি।
বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় ভূখণ্ডগত সীমার পূর্বশর্ত কথিত অপরাধের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে যায় না।
আইসিসি জানায়, তাজিকিস্তান ও কম্বোডিয়া থেকে চীনে উইঘুরদের জোর করে ফেরত পাঠানোর ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগের ওপর এই মুহূর্তে আইনি প্রক্রিয়া চালানোর কোনো সুযোগ নেই।
উইঘুরদের যুক্তি হলো– যদিও কথিত ওই নির্বাসন চীনা মাটিতে হয়নি, তাজিক ও কম্বোডিয়ায় ঘটেছে, আর এই দু-দেশই আইসিসির সদস্য। কাজেই এ ক্ষেত্রে আইসিসি আইনি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
আগামীনিউজ/প্রভাত