1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২০, ১১:০২ পিএম অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ
ছবি; সংগৃহীত

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার দাবি করেছেন ভারতের এক স্বেচ্ছাসেবক। দেশটিতে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)। ভারতীয় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ওই স্বেচ্ছাসেবকের স্ত্রী দাবি করেছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে তার স্বামীর স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আচরণেও পরিবর্তন এনেছে। তবে অভিযোগটি খতিয়ে দেখার পরও ভারতে এই পরীক্ষা বন্ধ রাখার কোনও কারণ খুঁজে পায়নি ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ভারতে এই পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে এসআইআই’র ডাটা অ্যান্ড সেফটি মনিটরিং বোর্ড অ্যান্ড এথিকস কমিটি। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ তোলা ওই ব্যক্তিকে গত ১ অক্টোবর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হয়। ৪০ বছর বয়সী ওই মার্কেটিং পেশাজীবীর স্ত্রীর দাবি চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষার প্রথম ডোজ গ্রহণের পর সাধারণ কাজেও ভুল করতে থাকেন তার স্বামী। এর জেরে একটি আমেরিকান প্রজেক্টের কাজও হাতছাড়া হয়ে যায় তার। ভ্যাকসিন উদ্ভাবকদের কাছে পাঁচ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি। এই অভিযোগের পেছনে আর্থিক বা অন্যকোনও অসৎ উদ্দেশ্য নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

ওই নারী বলেন,  ‘আমাদের মূল দাবি হলো মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করা। ভারতে এই ভ্যাকসিনকে একটি বিকল্প আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চুপ থাকতে পারিনা। আমরা আমাদের নিরবতাকে বিক্রি করতে পারতাম, তাদের কেবল নোটিশ পাঠিয়ে দিয়ে কিছু লাভবান হতে পারতাম কিন্তু আমাদের মন বলেছে যে এটা করা উচিত।’

অভিযোগ ওঠার পর ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় পরীক্ষাধীন সব বিষয়েই সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। আর বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষা চালাতে হওয়ায় প্রতিটি স্থানেই একটি একটি করে নৈতিকতা কমিটি রয়েছে। এই কমিটি সরকার বা উৎপাদকদের থেকে স্বাধীন। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে যেকোনও বিপরীত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। নৈতিকতা কমিটি অভিযোগটি আমলে নেবে আর ৩০ দিনের মধ্যে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দেবে।

তবে ওই স্বেচ্ছাসেবকের অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর ভারত সরকার জানিয়েছে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা বন্ধ করার কোনও কারণ পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভুষণ বলেছেন, প্রাথমিক পর্যালোচনার পর সেরাম ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার কারণ পাওয়া যায়নি। ভ্যাকসিন পরীক্ষা তৃতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে। সব নথি পর্যালোচনার পরই সেরাম ইনস্টিটিউটকে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner