ঢাকাঃ আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ নাইজারে ভয়াবহ বন্যায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টিপাতে নদীর পানি উপচে দু’কূল প্লাবিত করা বন্যায় কয়েক হাজার ঘরাবাড়ি বিনষ্ট হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
নাইজারে বর্ষা মওসুমে বন্যা একটি সাধারণ ঘটনা, এ সময় নদী ও জলধারাগুলো উপচে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায় এবং ফসলের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগস্টের প্রথমদিক থেকে দেখা দেওয়া বন্যায় এ পর্যন্ত ২৬ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধসে পড়ে ৩৭ জন নিহত হয়েছেন, ডুবে মারা গেছেন ১৪ জন।
নাইজার নদীর তীরবর্তী রাজধানী নিয়ামের বহু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট মাহমাদু ইসউফু নিয়ামের ডিস্ট্রিক্ট ফাইভ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা হাঁটু সমান ঘোলা পানিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন।
পরে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ইসউফু জানিয়েছেন, বন্যায় দেশজুড়ে ২ লাখ ৮১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সহায়তার জন্য জরুরিভিত্তিতে সাহায্য দরকার।
বিশ্বের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর অন্যতম নাইজারের অধিকাংশ এলাকাই মরুভূমি। দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি সাহারার অংশ।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথমদিক পর্যন্ত দেশটির ২৯ লাখ লোক বছর বছর বন্যা, খরা, মহামারীজনিত বিভিন্ন রোগ, নিরাপত্তাহীনতা ও বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবিক ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল।
আগামীনিউজ/এএইচ