
ঢাকা : গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের স্বার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মকর্তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে অন্তত ১৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা পরিষদ বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসে লেবাননের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা পরিষদ। বৈঠক শেষে এক বিবৃতির মাধ্যমে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং ১০ হাজার কোটি লেবাননি পাউন্ড সাহায্য হিসেবে বরাদ্দ দেন।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী মানাল আবদেল সামাদ জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের জুন থেকে বৈরুতের ওই অয়্যারহাউসে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ করা থেকে শুরু করে সেগুলোর তত্ত্বাবধান করা, পাহারা দেয়া বা এ-সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলির সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারি সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের সবাইকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সাধারণত সার ও বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবৌদ জানিয়েছেন, ‘বিস্ফোরণে প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্রয়, খাদ্য এবং পানি সরবরাহে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতি তিন থেকে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বা তার বেশিও হতে পারে।’ সূত্র : বিবিসি
আগামীনিউজ/এসপি