1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

করোনারভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হলো

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২০, ১১:০৭ এএম করোনারভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হলো

ঢাকা : বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এরই মধ্যে মারা গেছে ৭ হাজার ১০০। করোনার ওষুধ ও প্রতিষেধক নিয়ে চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা চলছে দেশে দেশে।

এরই মধ্যে প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হয় জেনিফার হ্যালার নামে এক নারীর দেহে। সোমবার (১৬ মার্চ ) ৩৪ বছর বয়সী দুই সন্তানের জননী জেনিফার প্রথম এই টিকা নেন।

প্রতিষেধক প্রয়োগের আগে বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া সাক্ষাতকারে জেনিফার বলেন, 'আমরা সবাই অসহায় বোধ করছি। এই ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নেয়া আমার জন্য কিছু করার একটা দারুন সুযোগ।'

জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিয়াটলে কাইজার পারমানেন্টে গবেষণাকেন্দ্রে ৪৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।

এই টিকার উপাদান হলো, কোভিড-নাইনটিন ভাইরাসের একটি জেনেটিক কোড। আসল ভাইরাসটি থেকেই নকল করে তৈরি করা হয়েছে। এই কপিটি বিপদজনক নয়, এবং এটা মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতেও পারে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনটি, বা এরকম যে আরও কয়েকটি টিকা এখন গবেষণার পর্যায়ে আছে। তাতে আদৌ কোন কাজ হবে কিনা তা জানতে আরো অনেক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। সারা পৃথিবী জুড়েই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন গবেষণার কাজ দ্রুততর করতে।

এমআরএনএ-১২৭৩ নামের এই টিকাটি কোভিড-নাইনটিন সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস থেকে তৈরি নয়। বরং সেই ভাইরাসের জেনেটিক সংকেতের একটি অংশ কপি বা নকল করেছেন বিজ্ঞানীরা এবং সেটাই এই টিকাতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

আশা করা হচ্ছে, এই টিকা প্রয়োগ করা হলে, মানবদেহের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তুলেই ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করা যাবে। স্বেচ্ছাসেবকদের বাহুতে ২৮ দিন পর পর দুবার টিকাটি দেয়া হবে।

আর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগে সফলতা এলেও বাজারে আসতে আরও এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি সি-ফুড মার্কেট থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইতোমধ্যেই চীনের বিভিন্ন প্রদেশের ছড়িয়েছে ১৫৪টি দেশে। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে কাজ করছেন রাশিয়া ও চীনের বিজ্ঞানীরা। চীন করোনা ভাইরাসের জেনোম রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তারা আশা করছেন, শিগগিরই ভাইরাসটির প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।

আগামীনিউজ/হাসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner