ঢাকা : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই দেহরক্ষীসহ প্রাদেশিক পরিষদের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। রোববারের (৮ মার্চ ) এ ঘটনায় আরো একজন আহত হয়েছেন বলে কাবুল পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র ফেরদৌস ফারামারজ বলেন, হামলায় লোগারের প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য নাসের গাইরাত ও তার দুই দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। অন্য আরেকজন আহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানের রাজধানীর এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র সিদ্দিক সিদ্দিকী এক টুইটবার্তায় বলেন, প্রেসিডেন্ট কাবুলে গোলাগুলির ঘটনায় তদন্তের জন্য একজন প্রতিনিধিকে নিয়োগ দিয়েছেন।
মাত্র দু’দিন আগে শুক্রবার কাবুলের একটি অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ৩২ জন নিহত ও প্রায় ১৮০ জন আহত হন। দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা আবদুল্লাহ অল্পের জন্য রক্ষা পান।
আবদুল্লাহ ২০১৪ সাল থেকে আফগানিস্তানের কোয়ালিশন সরকারের প্রধান নির্বাহী। তিনি এর আগে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন।
বিদ্রোহী তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে শান্তি প্রচেষ্টার উদ্যোগের মধ্যেই পরপর এসব হামলা চালানো হল। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) শুক্রবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে।
গত কয়েক বছর ধরে আফগানিস্তানে পূবপরিকল্পিত হত্যা, গুপ্তহত্যা ও সহিংস অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক সমস্যার পাশাপাশি এসব ঘটনাও ক্রমবর্ধমান জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
কাবুলের ৩৭ বছর বয়সী ট্যাক্সিচালক নুর আহমদ রয়টার্সকে বলেন, কাবুল আইনশৃঙ্খলাহীন একটি শহরে পরিণত হয়েছে। যে যা করতে চায় তাই করতে পারে- এ পরিস্থিতি অত্যন্ত ভীতিকর।
আগামীনিউজ/হাসি