মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পক্ষে নতুন এক ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন।
তিনি শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক শুনানিতে এ ব্যাখ্যা দেন।
সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে পম্পেও বলেন, ইরানের এই জেনারেলকে হত্যা করার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের বিপদ অনেকাংশে কমে গেছে। তিনি ইরানকে ‘সন্ত্রাসবাদের সমর্থক বিশ্বের এ নম্বর দেশ’ হিসেবে অভিহিত করার পাশাপাশি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ইহুদি-বিদ্বেষী’ দেশ হচ্ছে ইরান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরান ও তার ছায়া বাহিনীগুলো এ পর্যন্ত ইরাকে শত শত মার্কিন সেনাকে হত্যা করেছে।
পম্পেও এমন সময় এ ব্যাখ্যা দিলেন যখন গত ৩ জানুয়ারি জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, বিশ্বের চারটি দেশের দূতাবাসে আসন্ন হামলা ঠেকাতে ওই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। কিন্তু ওই চার দেশের নাম কখনোই জানায়নি ট্রাম্প প্রশাসন।
গত ৩ জানুয়ারি ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেঃ জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী ও দখলদার মার্কিন সেনারা। ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ মোট ১০ জন শহীদ হন। জেনারেল সোলাইমানি ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে বাগদাদ সফরে গিয়েছিলেন। সূত্র: পার্সটুডে।
আগামীনিউজ/মাসুম