ভারতের উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে গোলযোগপূর্ণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি ও ফ্ল্যাগমার্চ করছে। দিল্লিতে সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সহিংস ঘটনার খবর নেই। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
নতুন করে আর যাতে কোথাও গোলযোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতভর মৌজপুর, জাফরাবাদ, সীলমপুর, ভজনপুরা, করওয়াল নগর প্রভৃতি এলাকায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা টহলদারি চালিয়েছে। এসময় কাউকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখলে দ্রুত তাঁদেরকে বাসায় ঢুকে যেতে বলা হয়।
এদিকে, দিল্লির সহিংসতাকে কেন্দ্র করে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা, কাশী ও মথুরাসহ স্পর্শকাতর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের লক্ষনৌ, কানপুর, আলীগড়সহ বিভিন্নস্থানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে মুসলিম নারীরা ধর্না-অবস্থানে রয়েছেন। এ ধরণের সমস্ত ধর্না-অবস্থানস্থলে নিরাপত্তা জোরালো করা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) বিজয় ভূষণ বলেন, এ সকল এলাকায় কিছু সিনিয়র কর্মকর্তাকে সদর দফতর থেকে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত বাহিনী হিসেবে পিএসি দেয়া হয়েছে।
দিল্লি লাগোয়া নয়ডা, গাজিয়াবাদ, আলীগড়, মিরাট, সম্ভল, বুলন্দশহর, সাহারানপুর, মথুরা, আজমগড়, রামপুর, আগ্রা বারাণসী, অযোধ্যা ও লক্ষনৌতে বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল’বোর্ডের সদস্য মাওলানা খালিদ রশিদ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এক বার্তায় তিনি বলেন, এদেশে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি ও ঐক্যই দেশের সৌন্দর্য। দেশের গঙ্গা-যমুনা সংস্কৃতিতে কোনো আঁচ লাগতে দেবেন না। সবাই প্রতিবেশিদের ওপরে আস্থা রাখুন এবং যেসব লোকেদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাঁদেরকে সকলে মিলে সাহায্য করুন।
আগামীনিউজ/হাসি