বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানি খাতুন হত্যা মামলার শুনানি এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে।
শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ড. ডি ওয়াই চন্দ্রচাদ এবং বিচারপতি কে এম জোসেফ-এর যৌথ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। প্রায় আড়াই বছর পর মামলাটির শুনানি নিচ্ছে ভারতের শীর্ষ আদালত। প্রাথমিক শুনানি শেষে আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
অ্যাডভোকেট বিজন ঘোষের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি এলাকায় ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের সদস্যরা ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করে। বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের জওয়ানদের এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। ফেলানীর মরদেহ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। বাবার সঙ্গে ফেলানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বিয়ের উদ্দেশে সে দেশে ফিরছিল।
২০১৫ সালের আগস্ট মাসে কলকাতার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ বা মাসুমের সম্পাদক কীরিটি রায় এবং ফেলানীর বাবা মো. নূর ইসলাম ফেলানী হত্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট করেন। রিট আবেদনে বিবাদী করা হয় ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব, বিএসএফের মহাপরিচালক এবং সিবিআইর পরিচালককে।
বিএসএফের যে জওয়ানের গুলিতে ফেলানীর মৃত্যু হয়েছিল, সেই অমিয় ঘোষ নির্দোষ প্রমাণিত হন। বিএসএফের বিশেষ আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন। এরপর বিএসএফের রায় পুনর্বিচার করার সিদ্ধান্ত হয়। পুনর্বিচারেও অমিয় ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি। এরপর ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়।
আগামীনিউজ/নাঈম