ঢাকাঃ প্রায়ই স্মার্টফোনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফোন বিস্ফোরিত হয়ে কেউ কেউ আহতও হন। পকেটেই পুড়েছে কারো কারো ফোন। এমন ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু কী এর কারণ? ফোনে আগুন লাগার মূলত ৫টি কারণ। জানুন বিস্তারিত।
অতিরিক্ত গরম
স্মার্টফোনের ব্যাটারি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কাজ করার জন্য অপ্টিমাইজ করা হয়। আপনার স্মার্টফোনকে নিয়মিত বেশি তাপমাত্রায় রেখে দিলে তা দীর্ঘমেয়াদে ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে। সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শে বা দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ গাড়িতে থাকলে স্মার্টফোন গরম হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত উত্তাপের কারণে, ব্যাটারির সেলগুলো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে কার্বনডাই অক্সাইড ও অক্সিজেনের মতো গ্যাস তৈরি হয়। এগুলো স্মার্টফোনে বিস্ফোরণ বা আগুন ধরাতে পারে।
ওভারচার্জিং
স্মার্টফোনের বিস্ফোরণ ও আগুন ধরার প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে একটি হল অতিরিক্ত গরম হওয়া। অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসগুলোকে রাতে চার্জে রেখে দিতে অভ্যস্ত। যা অনেক সময় ফোনকে অতিরিক্ত গরম করে দিতে পারে। তবে এই নিয়ে কোনও স্পষ্ট গবেষণা নেই। মনে রাখবেন যে রাত ধরে চার্জ সাধারণত এক মাস বা এক বছরে স্মার্টফোনের ব্যাটারি নষ্ট করে দেয় না। সাধারণত সারা রাত চার্জ করার পর ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় শর্ট সার্কিটও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
থার্ড পার্টি চার্জার
সব সময় আপনার স্মার্টফোনটিকে আসল কেবল ও অ্যাডাপ্টার দিয়ে চার্জ করুন। অন্য কোনও ব্র্যান্ডের চার্জার ব্যবহার করলে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। থার্ড পার্টি চার্জিং কেবল ও অ্যাডাপ্টারগুলো ডিভাইসটিকে অতিরিক্ত গরম করতে পারে।যা থেকে ব্যাটারিতে শর্ট সার্কিট হতে পারে।
ব্যবহার করছেন কীভাবে ?
স্মার্টফোন খারাপ বা রাফ ইউজ করলে কেবল বাইরের নয়, ব্যাটারিরও ক্ষতি হতে পারে। এরফলে ব্যাটারির যান্ত্রিক বা রাসায়নিক উপাদানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই ভারসাম্যহীনতার কারণে শর্ট-সার্কিট, অতিরিক্ত উত্তাপ ও অন্যান্য কারণে স্মার্টফোনে বিস্ফোরণ হতে পারে বা আগুন ধরতে পারে।
চিপসেট ওভারলোডিং
গেমিং বা মাল্টি-টাস্কিংয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোন দ্রুত গরম হয়ে যেতে পারে। গরমের প্রধান কারণ প্রসেসর। ডিভাইসটি নিরাপদ রাখতে নির্মাতারা নিরাপত্তার জন্য বেশ কয়েকটি কুলিং মেশিন যুক্ত করে। আপনি যদি মনে করেন এটি খুব গরম হচ্ছে, তবে কয়েক মিনিটের জন্য আপনার স্মার্টফোনটি বন্ধ করে রাখবেন, অন্যথায় বিপদ বাড়বে।
এমএম