ঢাকাঃ টুইটার সংস্থা বলেছে, দেশের আইন মেনেই ইউজারদের গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে। ভারতে ব্যবসা করতে হলে কেন্দ্রের ডিজিটাল মিডিয়ার আইন মেনে চলতে হবে, দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট এ নির্দেশ দিতেই সুর নরম করল টুইটার।
ভারতের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতি মানতে ইতিমধ্যেই রাজি হয়ে গেছে ফেসবুক (Facebook), গুগল (Google), কু (KOO), শেয়ারচ্যাট (ShareChat), টেলিগ্রাম (Tegegram), লিঙ্কডইন (Linkedin)। এমনকী কেন্দ্রের দেওয়া শর্ত মেনে হোয়াটসঅ্যাপও (WhatsApp) নতুন নিয়োগ করা নোডাল অফিসারের নাম সরকারকে জানিয়ে দেন। কেবল বেঁকে বসেছিল টুইটার। দিল্লি হাইকোর্ট এই নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়ে টুইটারকে নোটিস দেয়। আর তারপরই কার্যত নতি স্বীকার করে নিল মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “ভারতের সোশ্যাল মাধ্যমের আইন মেনেই স্বচ্ছতা ও বাক স্বাধীনতা রক্ষা করার চেষ্টা করব আমরা। পাশাপাশি আইনের আওতায় থেকেই প্রত্যেকের গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমাও। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল কনটেন্ট সংক্রান্ত ওই নয়া নির্দেশিকা জারি করে তা কার্যকর করার জন্য ৩ মাস সময় দিয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে গত ২৫ মে। তারপরও সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের বিবাদ অব্যাহত।
ফেসবুকের তরফে নিঃশর্তে কেন্দ্রের নতুন গাইডলাইন মানার ইঙ্গিত দেওয়া হলেও বেঁকে বসে হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটার (Twitter)। সরকারের নতুন নিয়মের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের অভিযোগ ছিল, এর ফলে বিঘ্নিত হবে গ্রাহকদের গোপনীয়তা। কেননা নয়া নিয়ম মেনে হোয়াটসঅ্যাপে করা প্রতিটি মেসেজের দিকে নজর রাখতে গেলে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’নিয়ম ভঙ্গ হয়ে যাবে। একইভাবে টুইটারও জানিয়েছিল ভারতের এই নয়া আইন বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু শেষমেশ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের মতোই এবার টুইটারও কেন্দ্রের শর্ত মেনে নিল।