![Agaminews](https://www.agaminews.com/media/common/logo.png)
পরিচিতিঃ (Botanical Name: Pterocarpus santalinus Linn, Common Name: Rakto Chandon, English Name: Red Sandal, Family: Leguminosae)
রক্ত চন্দন চিরসবুজ পত্রাচ্ছাদিত বৃক্ষ । গাছ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট লম্বা হয় । গাছের ছাল প্রায় কালো আভাযুক্ত ধূসর বর্ণের । কাঠ শক্ত, বাহ্যিকভাবে সাদা এবং ভিতরে রক্তবর্ণ। পাতার মাথা কিছুটা চাপা ও চামড়ার ন্যায় শক্ত এবং উভয় দিক গোলাকার এবং নীচের দিকে মসৃণ অস্পষ্ট লোমযুক্ত । পুস্পদন্ড লম্বা এবং চারিদিক ফুল হয়। গ্রীষ্মকালে ফুল ও ফল হয় ।
প্রাপ্তিস্থানঃ সিলেটে, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে দেখা যায় ।
চাষাবাদঃ বীজ থেকে বংশ বিস্তার হয় ।
লাগানোর দুরত্ত্বঃ ১৮ থেকে ২৭ ফুট ।
উপযোগী মাটিঃ বেলে বা দোআঁশ মাটিতে ভালো হয় ।
প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ প্রায় ৫ হাজার ।
বীজ আহরণের সময়ঃ অক্টোবর-নভেম্বর ।
প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষণঃ বীজ সংগ্রহ করে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে ৬ মাস পর্যন্ত বীজ সংরক্ষণ করা যায়।
ব্যবহার্য অংশঃ কাঠ ও কাঠের সারাংশ এবং তেল ব্যবহার হয় ।
উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ রক্তচন্দন হৃদরোগে বিশেষ কার্যকারী । রকচন্দন ক্রিয়া প্রায় শ্বেতচন্দনের মতো। শান্তিদায়ক, প্রত্যাবর্তক ও শীতলকারক । রক্ত পরিষ্কারক, বর্ণ প্রসাদক, উষ্ণতা প্রশমক, ফোলা ও প্রদাহ নিবারক। হৃদকম্প নাশক, যৌনশক্তি বর্ধক, বলকারক ও আমাশয়ে উপকারি।
কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ
পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ সাধারণত ১৫-২০ বছরে পরিপক্ক হয় ।
অন্যান্য ব্যবহারঃ হিন্দু ধর্মে পূজা অর্চনায় চন্দনের ফোটা দেয়া খুবই পবিত্র বলে মানা হয় ।এছাড়াও সুগন্ধি ও রং তৈরিতে চন্দন ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
আয়ঃ প্রতি একর জমিতে বার্ষিক আয় ৮০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা ।
আগামীনিউজ/নাসির