
পরিচিতিঃ (Botanical Name: Ipomoea mauritiana Jacq, Common Name: Bhuikumra, Enghlish Name: Jaint Potato, Family: Convolvulaceae)
ভুঁইকুমড়া বৃক্ষারোহী লতা জাতীয় গুল্ম। পাতা ২ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা, হাতের পাঞ্জার মত ৫ থেকে ৭ ভাগে বিভক্ত থাকে। ফুল নালিকাকার কলমি ফুলের মত লম্বা এবং বেগুনী বর্ণের। ফল ছোট ছোট গোলাকার সবুজ বর্ণের। কন্দ বেশী পুরনো হলে ২০ কেজি পর্যন্ত দেখা যায়।
প্রাপ্তিস্থানঃ বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভুঁইকুমড়া জন্মে।
চাষাবাদঃ সাধারণতঃ কন্দের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে।
লাগানোর দূরত্বঃ ১ থেকে ৩ ফুট।
উপযোগী মাটিঃ সব ধরনের মাটিতেই ভুঁইকুমড়া জন্মে।
বীজ আহরণঃ আগস্ট মাসে কন্দ সংগ্রহ করে ঠান্ডা ছায়াযুক্ত জায়গায় রেখে দিলে জানুয়ারি মাসে চারা গজায়; তখন রোপন করতে হয়।
প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষণঃ সাধারণতঃ কাঁচা কিংবা শুকনো অবস্থায় ভুঁইকুমড়া কন্দ ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহার্য অংশঃ কন্দ।
উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ ভুঁইকুমড়া যৌনশক্তি বর্ধক ও বীর্য গাঢ়কারক হিসাবে বিশেষ কার্যকরী। এছাড়াও, বলকারক, রসায়ন ও বাজীকরণ। বীর্য ও স্নিগ্ধকারক এবং পুষ্টিকারক ও স্তন্যদুগ্ধ বর্ধক। মুত্রকারক,বর্ণপ্রসাদক ও জীবনী শক্তি বর্ধক। জ্বর, পিত্তজ্বর ও দাহনিবারক। প্লীহা ও লীভার রোগে উপকারী এবং বিরেচক।
কোন কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ
অন্যান্য ব্যবহারঃ ভুঁইকুমড়া পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ ১ বছর হতে ৩ বছরে পরিপক্ক হয়।
আয়ঃ প্রতি একর জমিতে চাষ করে ৬০,০০০ টাকা থেকে ৯০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
আগামীনিউজ/নাসির