ঢাকাঃ বিশ্ব কিডনি দিবস আজ। প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালন করা হয়। এ বছর কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য, জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’।
কিডনি রোগ সারাবিশ্বে একটি নীরব ঘাতক হিসাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে জীবন ধারন করছে। এ অবস্থায় কিডনি রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধে ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সালে থেকে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব কিডনি ফাউন্ডেশন দিবসটি পালন করছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, কিডনি ফাউন্ডেশন ও ক্যাম্পসসহ বিভিন্ন সংগঠন শুভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে।
এ বছরে কিডনি রোগ থেকে বাঁচার জন্য ছয়টি স্লোগানের মনোযোগ প্রদান করা হবে। স্লোগানসমূহ হলো:
১. রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
৩. চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করুন
৪. পরিমিত শরীরচর্চা করুন
৫. ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন
৬. ফলমূল ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ যে কোনো সময় কিডনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিডনি রোগ কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়না। যখন প্রকাশ পায় তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। তবে কিডনি রোগের কিছু উপসর্গের
বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। যেমন: প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ঘনঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীর ও মুখে ফোলা ভাব ইত্যাদি। তিন মাসের চিকিৎসায় কিডনি রোগ ভালো না হলে এটিকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ (সিকেডি) হিসেবে ধরা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বে বর্তমান ৮৫ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। সে হিসাবে প্রতি ১০ জনে একজন কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রতি বছর ১৭ লাখ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন, যাদের অধিকাংশই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে জনে না। কিডনি রোগকে বিশ্বব্যাপী মানুষ মৃত্যুর ছয় নম্বর কারণ। বিশ্বে প্রতি দিনে ৪ হাজার ৬৫৭ দশমিক ৫ জন, প্রতি ঘণ্টায় ১৯৪ জন এবং প্রতি মিনিটে ৩ দশমিক ৩ জন কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এমবুইউ