আলু চাষে পরিচিত জেলা ঠাকুরগাঁও। জেলার ৫ উপজেলার মাটি আলু চাষে উর্বর হওয়ার কারণে প্রতি বছর অধিক লাভের আশায় দুই ধাপে আলু চাষ করেন এলাকার কৃষকরা।
আশ্বিন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথম ধাপের আলু চাষ শুরু হয় এই এলাকায়। আগাম জাতের ধান কাটার পর ওই জমিতে আলু চাষ করা হয়। পরে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে করা হয় দ্বিতীয় দফা আলু চাষ।
গত বছর বোরো ধান ও চলতি বছর আমন ধানের বাজার কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে কৃষকদের। তাই ঠাকুরগাঁও জেলায় চলতি বছরের আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে লাভের আশায় দ্বিতীয় দফায় আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৫২৮ হেক্টর। আলু আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৩০ হেক্টর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। রানীশংকৈল উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। পীরগঞ্জ উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। হরিপুর উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে।
ঠাকুরগাঁওয়ে এবার মাটির প্রকারভেদে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়েছে- কার্ডিনাল, ডায়মন্ড ও দেশি আলু।
ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মাটি বেশ উচু ও উর্বর তাই সব উপজেলায় আলু চাষের উপযোগী। বিশেষ করে সদর উপজেলার, রহিমানপুর, আখানগর ইউনিয়ন ও রুহিয়া ইউনিয়ন।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আফতাব হোসেন বলেন, স্বল্প সময়ে আলু চাষ একটি লাভজনক ফসল, তাছাড়া আলু হিমাগারে রেখে সারা বছর খাওয়া যায় ও বিক্রি করা যায়। আশা করি বাজার দর অনুকূলে থাকলে আলু চাষে কৃষকরা লাভবান হবে।
আগামী নিউজ/এসএ/এসএম/এনএনআর