ঢাকাঃ বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১৭ লাখ ৯০ হাজার ডোজ করোনার টিকা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এ চালানসহ কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে দেশটি।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বে বাংলাদেশকে ১.৭৯ মিলিয়ন ডোজ ফাইজারের টিকা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ১৫ মিলিয়ন ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে। কোনো স্ট্রিং সংযুক্ত না করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ অন্যান্যদের জীবন বাঁচানোর জন্য টিকার সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশকে ১৮ লাখ ফাইজারের টিকা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ১ম দফায় ১ লাখ ৬২০ ডোজ, ২য় দফায় ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৬০ ডোজ, ৩য় দফায় ২৫ লাখ ডোজ এবং চতুর্থ দফায় ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে।
এদিকে গত ১০ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঞ্চালনায় করোনা বিষয়ক ভার্চুয়ালি এক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশকে আরও ১ কোটি ৪০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অক্সফোর্ড-অ্যাসট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর গত ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মর্ডানা এবং সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ১৫১ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৭৯ লাখ ১৫ হাজার ৪৪৬ জন। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭১ হাজার ৭০৫ জন।
এখন পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য মোট নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৪৮২ জনে। তাদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৬ কোটি ৮৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭১ জন এবং পাসপোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৫ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন।
আগামীনিউজ/বুরহান