1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মরিচ চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০, ১২:২৪ পিএম মরিচ চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল 

শরীয়তপুরে চরাঞ্চলের কৃষি পণ্যের মধ্যে মরিচ অন্যতম অর্থকরী ফসল। এবার মোট জমির ২৫-৩০ ভাগেই হয়েছে মরিচের চাষ। অনুকূল পরিবেশে মরিচ চাষে দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এবার মরিচের ফলনও ভাল হয়েছে।

জেলার ৩ হাজার ৫শ’হেক্টর বিস্তীর্ণ হয়েছে মরিচের চাষ। এখানকার জমি বালিযুক্ত পলিমাটি হওয়ায় অন্য ফসলের চেয়ে মরিচ উৎপাদন তুলনামূলক বেশি লাভজনক। মোট জমির ২৫-৩০ ভাগ জমিতেই মরিচ চাষ করছেন কৃষকরা। গত মৌসুম থেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের ফলে কাঁচা মরিচ বিক্রির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফলে শুকনা মরিচের চেয়ে দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ক্ষেত থেকে ৫০-৫৫ টাকা দরে পাইকাররা কিনে নিচ্ছেন।

বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের ফলে আগাম আবাদ করছেন তারা। আর কাঁচা মরিচ বিক্রি করে বিঘা প্রতি প্রায় দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন। প্রতি বিঘায় কাঁচা মরিচের ফলন হয় ৩৩ মণ। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪০ হাজার টাকা। ফলশ্রুতিতে চরাঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলের কৃষকও এখন কাঁচা মরিচ তুলে বিক্রিতেই বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।

কৃষক আলী বেপারী বলেন, গত তিন বছরে ২ একর জমিতে মরিচ আবাদ করে শুকিয়ে বিক্রি করেছি ১ লাখ ১৫-২৫ হাজার টাকা। কিন্তু এবার একই পরিমাণ জমির কাঁচা মরিচ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আরো ৫০-৬০ হাজার টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি করবো। কাঁচা মরিচ শেষ হওয়ার পরে আরো ৫০-৫৫ হাজার টাকার শুকনো মরিচ বিক্রি করতে পারব।

চরজিংকিং গ্রামের নাজমা বেগম বলেন, কাঁচা মরিচ বিক্রির ফলে আমি প্রায় দ্বিগুণ লাভ পেয়েছি। এতে ফসল ঘরে তুলতে সময়ও লাগছে কম। তাছাড়া নিয়মিত পাইকার এসে ক্ষেত থেকেই কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের শ্রমিক খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে এখন এলাকার অনেক কৃষকই মরিচ একটু আগাম আবাদ করে কাঁচা মরিচই বিক্রি করছেন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহ মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কাঁচা মরিচকে শুকিয়ে প্রসেস করার পরে বিঘা প্রতি যে ফলন ও দাম পাওয়া যায়, তার তুলনায় কাঁচা মরিচে সার্বিক লাভ বেশি হয়। তাই কৃষকরা এখন এদিকেই ঝুঁকছেন। এ পদ্ধতি এখন কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. রিফাতুল হোসাইন বলেন, মসলা ফসলের মধ্যে মরিচ জেলার অন্যতম একটি অর্থকরী ফসল। এ বছর জেলায় ৭ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছ। তারা কাঁচা মরিচ বিক্রি করে এখন প্রায় দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন। ফলে এটি এখন উচ্চ মূল্যের ফসল হিসেবে অগ্রাধিকার তালিকায় স্থান নিয়েছে।

আগামীনিউজ/হাসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner