1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ নেই সিলেট বিভাগের ৭৮ শতাংশ নারীর

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২০, ০৮:৫০ এএম কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ নেই সিলেট বিভাগের ৭৮ শতাংশ নারীর
ছবি সংগৃহীত

প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল সিলেট। পুরুষদের বড় অংশই থাকেন বিদেশে। সেখান থেকে পাঠান রেমিট্যান্স, যা দিয়ে সংসার চালান নারীরা। আবার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হাওড় থাকায় নারীশিক্ষার হারও কম এ অঞ্চলে, গড়ে ওঠেনি শিল্প-কারখানা। ফলে দেশের অন্য বিভাগগুলোর তুলনায় কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ কম সিলেট বিভাগের নারীদের। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, সিলেট বিভাগের ৭৮ শতাংশ নারীই আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কোনো কাজে অংশ নেন না।

বিবিএসের ২০১৬-১৭ সালের ‘লেবার ফোর্স সার্ভে’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে কর্মবয়সী (পঁচিশোর্ধ্ব) নারীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে বাস করেন ২৭ লাখ ৫২ হাজার। আর শহরে অবস্থান করেন ৬ লাখ ২৫ হাজার কর্মবয়সী নারী। তাদের মধ্যে মাত্র ২২ শতাংশ নারী কৃষি, শিল্প ও সেবা এ তিন ক্যাটাগরিতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কাজে সক্রিয়।

কর্মবয়সী হলেও নারীদের বড় একটি অংশ কাজে যোগ না দেয়ার পেছনে মোটা দাগে দুটি কারণকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি হচ্ছে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অভাব, অন্যটি রেমিট্যান্সনির্ভর পারিবারিক ব্যবস্থা। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য (২০০৫-১৯) অনুযায়ী, সিলেটের ২ লাখ ১৬ হাজার ১৭৫, মৌলভীবাজারের ১ লাখ ৭৪ হাজার ২৪১, হবিগঞ্জের ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৫৩ ও সুনামগঞ্জের ১ লাখ ২৩ হাজার ৩২৯ জন প্রবাসে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। এসব প্রবাসীর মাধ্যমে এ অঞ্চলে প্রচুর রেমিট্যান্স আসে, যার ভিত্তিতে আবর্তিত হয় সেখানকার অর্থনীতি। সমন্বিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাবেক সভাপতি সমাজকর্মী নাজনীন হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, রেমিট্যান্সপ্রবাহ থাকায় এখানকার অর্থনীতি দেশের অন্য অঞ্চল থেকে ভালো। অর্থের সমস্যা না থাকায় প্রবাসী পরিবারের অনেক নারীই চাকরি করতে চান না। এছাড়া কর্মস্থলে নারীর নিরাপত্তার অভাব তো রয়েছেই। এ অবস্থায় সামগ্রিকভাবে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিগত কারণে এ অঞ্চলের নারীরা কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছেন। তবে শিক্ষা প্রসারের ফলে দিন দিন এ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এছাড়া সিলেটের বাইরে চাকরি করতে না চাওয়া ও রক্ষণশীলতাকেও কর্মক্ষেত্রে সিলেটের নারীদের পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তিনি।

কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের দিক দিয়ে দেশের অন্যান্য বিভাগের নারীরা সিলেটের চেয়ে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছেন। বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, রাজশাহী অঞ্চলের নারীরা সবচেয়ে বেশি আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শ্রমে নিযুক্ত হচ্ছেন। এ অঞ্চলের ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মক্ষম নারী অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখছেন। এ হার ঢাকা বিভাগে ৩২ দশমিক ২, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৫, খুলনায় ৩৩ দশমিক ৫, রংপুরে ৩৩ দশমিক ৩ ও বরিশালে ২৬ শতাংশ। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের দিক দিয়ে সিলেট অঞ্চলের গ্রামের নারীরা এগিয়ে। গ্রামাঞ্চলের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখছেন। পুরুষের পাশাপাশি কোনোনা কোনো কর্মক্ষেত্রে যুক্ত আছেন এ নারীরা। সেখানে শহরে বসবাস করা নারীদের মাত্র ১২ দশমিক ৮ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত। এ বিভাগের সিলেটসহ চার জেলার শহরাঞ্চলে বসবাস করা ৮৫ দশমিক ৬ শতাংশ নারী কর্মক্ষম হওয়ার পরও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করছেন না।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক বলেন, অনানুষ্ঠানিক শ্রমশক্তির মধ্যে গৃহস্থালি কাজের হিসাব অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার ফলে এমন অবস্থা হতে পারে। দেশের নারীরা আগের তুলনায় বেশি অনানুষ্ঠানিক কাজে ঝুঁকছেন। নারীরা ঘরের যে কাজগুলো করে থাকেন, সেগুলো কোনো হিসাবের মধ্যে আসছে না। ফলে বিষয়টির মধ্যে একটা ধোঁয়াশা আছে। এগুলো শ্রমশক্তি হিসেবে মূল্যায়ন করা হলে নারীরা পরিবার ও দেশের জন্য আরো অবদান রাখতে পারবেন।

সিলেট বিভাগের বড় একটি অংশ হাওড় অঞ্চল হওয়ায় যেখানে নারীশিক্ষার হার কম। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিতেও নারীর অংশগ্রহণ তেমন নেই। পাশাপাশি বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত রেমিট্যান্স আসার ফলে পারিবারিকভাবে নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োগে এক ধরনের অনীহা আছে বলে উল্লেখ করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান এনডিসি। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, এখানকার সব নারী বাইরের কাজে যুক্ত না হলেও ঘরের কাজ ঠিকই করছেন। সেটা হিসাবের মধ্যে এলে নারীর অংশগ্রহণ ঠিক আছে বলে মনে করেন তিনি। (খবর : দৈনিক বণিক বার্তা, ০৮ মার্চ, ২০২০)

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner