ঢাকাঃ মাদক মামলার জামিন আবেদনের শুনানির বিষয়ে বিচারিক আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। একই সঙ্গে জামিনও চেয়েছেন তিনি। ওই আবেদনের শুনানি আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করলে শুনানির জন্য এ সময় নির্ধারণ করা হয়।
আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু এহিয়া দুলাল।
এর আগে বুধবার (২৫ আগস্ট) পরীমনির আইনজীবী মুজিবুর রহমান জানান, পরীমনি নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
মুজিবুর রহমান জানান, একটি মাদক মামলায় জামিনের আবেদন তাৎক্ষণিক না শুনে লম্বা তারিখ ধার্যের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করা হয়েছে। সঙ্গে পরীমনির জামিনও চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শনিবার (২১ আগস্ট) তৃতীয় দফায় ৭ দিন রিমান্ড শেষে পরীমনিকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ হাকিম আশেকে ইমাম। এদিন পরীমনির পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পরীমনিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড দেন আদালত। এর আগে পরীমনিকে প্রথম দফায় চার দিন, দ্বিতীয় দফায় দুদিন এবং তৃতীয় দফার এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
৪ আগস্ট পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। এরপর রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তার বাসা থেকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র্যাব সদর দপ্তর থেকে পরীমনি, রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যায় র্যাবের একটি দল। এরপর র্যাব বাদী হয়ে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।