1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ধানমন্ডি আইডিয়ালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস বর্জন

আগামী নিউজ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২, ০১:৫৩ পিএম ধানমন্ডি আইডিয়ালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস বর্জন

ঢাকাঃ রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ ৩ শিক্ষকের পদত্যাগর দাবিতে ক্লাসসহ একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন ওই কলেজের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষার্থীরাও। তারা সকাল থেকে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতর বিক্ষোভ ও মিছিল করছেন ক্যম্পাসে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

শনিবার (৪ জুন) সকাল থেকেই আইডিয়াল কলেজে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার ওই অধ্যক্ষের  বিরুদ্ধে ভুয়া পিএচডি, অঢেল আর্থিক দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করো তাকে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন খোদ কলেজের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করে কলেজের গনিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল জলিল বলেন, অধ্যক্ষসহ মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের পদত্যাগের দাবিতে আমরা সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছি। শিক্ষার্থীরাও আমাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে কলেজে বিক্ষোভ করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ জনাব জসিম উদ্দীন আহম্মেদ ২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম, অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠা শুরু হয়। অধ্যক্ষ ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানসহ আরও কতিপয় শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর বুকে সুপ্রতিষ্ঠিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তাদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের মত পরিচালনা করেছেন। উক্ত শিক্ষকেরা অধিকাংশ সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে বিরত থেকে অধ্যক্ষের সাথে বিভিন্ন অবৈধ/অনৈতিক কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করে ও তা সম্পাদন করে থাকে। তারা বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক কর্মচারীদের ডেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, ভৎসনা করা, কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া, চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া ইত্যাদি হুমকি প্রদান করে প্রতিষ্ঠানে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।

তারা বলেন, অধ্যক্ষ কলেজে যোগদানের প্রথম বছরেই তার অনৈতিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে চার জন শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করেছেন, একাধিক কর্মচারীকে চাপ প্রয়োগে চাকুরী থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন এবং আরও অনেক শিক্ষক কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুতির হুমকি প্রদান করে আসছেন। অধ্যক্ষ সম্পর্কে যতটা জানা যায়, পূর্বে তিনি যে সকল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন, প্রতিটি কলেজেই দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের কারণে তিনি অভিযুক্ত ও তিরস্কৃত হয়েছেন।

তারা আরও বলেন, অধ্যক্ষ, শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী অনলাইনে বা কোনো জালিয়াতির মাধ্যমে মালিবাগ মোড়ে অবস্থিত ‘LINCOLNS’ – Higher Education and Management (শাহজালাল টাওয়ার ৬ তলা, ৮০/এ/১, সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড) নামে প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ডক্টরেট ডিগ্রীর সার্টিফিকেট ক্রয় করে তা কলেজে জমা দিয়ে উচ্চপদে পদোন্নতি ও বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন।

“অধ্যক্ষের সকল অপকর্মের সহযোগী শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী ২০১৩ সালে সাচিবিক বিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। নিয়োগের সময় না দেখালেও পরবর্তীতে তিনি ‘উলানিয়া মোজাফফর খান ডিগ্রী কলেজ, মেহেন্দিগঞ্জ’ থেকে ১৪ বছর ৪ মাস অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। পরবর্তীতে জানা যায়, একই সময়কালে আলৌকিকভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ও ‘উলানিয়া মোজাফফর খান ডিগ্রী কলেজ, মেহেন্দিগঞ্জ’-এ তিনি চাকরি করেছেন। গভর্নিং বডির কতিপয় সদস্যের যোগসাজসে চাকরির পূর্ব অভিজ্ঞতা ও অত্র প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে প্রথমে সহকারী অধ্যাপক ও আবার তিন বছরের ব্যবধানে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি বর্তমান অধ্যক্ষের যোগদানের পর থেকে অবৈধপন্থায় গভর্নিং বডির ‘শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য’ হিসাবে যোগ দিয়ে সকল রকমের দুর্নীতি ও অনিয়মগুলো আড়াল করায় সহযোগিতা করেছেন।”

‘অধ্যক্ষের সকল অপকর্মের অন্য একজন সহযোগী শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী পূর্ববর্তী কলেজের ভুয়া অভিজ্ঞতা কাগজপত্র দেখিয়ে, অল্প সময়ের ব্যবধানে ‘কলেজের পদোন্নতি নীতিমালা’য় সুবিধাজনক পরিবর্তন এনে তৌফিক আজিজ চৌধুরী মতো সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে মোট দুইবার পদোন্নতি পেয়েছেন। তার কলেজ থেকে প্রাপ্ত আর্থিক সুযোগ সুবিধা ও অবৈধভাবে প্রাপ্ত অর্থ, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসরত তার পরিবারের কাছে অবৈধপথে নিয়মিত পাচার করেন এবং সেখানে তিনি প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনিও বর্তমান অধ্যক্ষের যোগদানের পর থেকে অবৈধপন্থায় গভর্নিং বডির ‘শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য হিসাবে যোগ দিয়ে অধ্যক্ষ ও তাদের নিজেদের সকল রকমের দুর্নীতি ও অনিয়মগুলো আড়াল করায় সহযোগিতা করেছেন। অধ্যক্ষের অপকর্মের সকল সহায়তাকারীরা বিভিন্ন রকমের দুর্নীতি ও অনিয়ম করেছেন এবং অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন,’ যোগ করেন তারা।

শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো ব্যাংক একাউন্ট থাকলেও ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীদের বেশ অনীহা দেখা যায়। ইদানিং শিক্ষার্থীদের থেকে প্রতিষ্ঠানের পাওনা অধ্যক্ষ সাহেবের মালিকানাধীন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে আদায় করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২২ সালে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর একটি ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner