1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগে ১৫ লাখ পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়: টিআইবি

ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৮:২১ পিএম মাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগে ১৫ লাখ পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়: টিআইবি

ঢাকাঃ দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদ ভেদে শিক্ষক নিয়োগে সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে টিআইবির এক গবেষণায়।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এসব তথ্য তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এসময় বলা হয়, প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য নিয়োগ, বদলি, নতুন পাঠদান, শ্রেণি শাখা, বিভাগ ও বিষয় অনুমোদন এবং শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল অনুমোদনেও অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশ করা সহকারী শিক্ষকদেরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের জন্য দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এ টাকা দিতে হয় প্রধান শিক্ষক বা পরিচালনা কমিটিকে। শিক্ষক এমপিওভুক্তিতে পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষার কাজে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষকের এক মাসের এমপিওর টাকা দিতে হয়। এ টাকা দিতে হয় পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) সংশ্লিষ্ট কমর্কতাদের। আর শিক্ষক বদলিতে এক থেকে দুই লাখ টাকা দিতে হয়। এ টাকা দিতে হয় মধ্যস্বত্বভোগী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। আর প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতির জন্য ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ এবং স্বীকৃতি প্রদানে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে হয় নিয়মের বাইরে। এর মানে প্রচলিত অর্থে এগুলো ঘুষ।

টিআইবি বলছে, এসব অনিয়মে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য, প্রধান শিক্ষক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি।

এসময় করণীয় নির্ধারণে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনের বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটি গুণগত গবেষণা। বেশির ভাগ তথ্যদাতা এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ গবেষণার সুপারিশগুলোর বিষয়ে গুরুত্ব দেবে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner